শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৬:৪৬ সকাল
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৬:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২০১৪ সালের তুলনায় ৩ গুণ বেশি তালেবান এখন আফগানিস্তানে

রাশিদ রিয়াজ : যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান কর্মকর্তাদের ধারণা আফগানিস্তানে সশস্ত্র তালেবানদের সংখ্যা ৬০ হাজার কিংবা ২০১৪ সালের তুলনায় ৩গুণ রয়েছে। ওই বছরেই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগানিস্তানে তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সমাপ্তের ঘোষণা দেন। তবে এনবিসি বলছে, আফগানিস্তানে ৬০ হাজার তালেবানদের সংখ্যা কম ধরা হয়েছে। বরং তালেবানদের সংখ্যা আরো বেশি। কারণ একটি গ্রুপ থেকে আরেক গ্রুপে দ্রুত পরিবর্তন করে বলে এধরনের সশস্ত্র গোষ্ঠীতে অনুসারীর সংখ্যা অনেক বেশি। ২০১১ সালে আফগান কর্মকর্তারা ৩৫ হাজার তালেবানের কথা বলেছিলেন। ওই বছর মার্কিন সেনাদের সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। ১০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র অনুমান করেছিল ২০ হাজার তালেবান রয়েছে যখন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিল সাড়ে তিন লাখ।

তালেবানদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ হচ্ছে তারা যখন হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত ছিল তখন ইসলামি ও আফগান জাতিয়তাবাদীদের সঙ্গে তাদের অনেকে ১৯৮০ সালে রাশিয়া ও সমাজতান্ত্রিক আফগান সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দীর্ঘ যুদ্ধ করেছিল। একটি পর্যায়ে তাদের অনেকে তালেবান থেকে সরে যেয়ে ২০১২ সালে শক্তিশালী দুটি গ্রুপে ঐক্যবদ্ধ হয়। গত বছর আফগানিস্তানে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আনতে পেন্টাগনের রিপোর্টে বলা হয়েছে হাক্কানি ও তালেবানের মধ্যে সমন্বয় বা বিভক্ত হওয়ার বিষয়টি এত দ্রুত বা পরিবর্তিত হতে থাকে যে অনেক বিশ্লেষক তাদের ঠাহর করতে পারেন না।

২০১২ সালে এ দুই গ্রুপের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয় তাদের মধ্যে মূলত কোনো পার্থক্য নেই এবং জালালউদ্দিন হাক্কানি যিনি তালেবান পরিষদে কোয়েটা শুরার সদস্য। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট এবং ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল থিংক ট্যাক চ্যাথাম হাউজের ধারণা ৬০ হাজার তালেবান এখনো সক্রিয় রয়েছে। যাদের সংখ্যা ২০১৪ সালে ছিল কুড়ি হাজার। এদুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, যৌথ বাহিনীর হাতে হাজার হাজার তালেবান মারা গেছে। তারপরও আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিকে আছে তালেবানরা। তারা বিকেন্দ্রিকরণের মাধ্যমে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারছে এবং নতুন করে অনুসারী তৈরিও করছে।

আফগানিস্তান পুনর্গঠনে মার্কিনিদের এক প্রতিবেদনেও দেশটির অধিকাংশ জেলা সরকার না তালেবান নিয়ন্ত্রণ করছে তা নিয়ে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে ১৬ বছর ধরে আফগানিস্তানে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করার কোনো মানেই হয় না যখন এখনো দেশটির অধিকাংশ এলাকা তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে রয়ে গেছে। স্পুটনিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়