শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১০:০৪ দুপুর
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১০:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভূমিধস ও বন্যা ঝুঁকিতে লাখো রোহিঙ্গা

ডেস্ক রিপোর্ট : কক্সবাজারের বালুখালী ও কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা ভূমিধস এবং বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে এসব শিবিরের প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে কমপক্ষে এক লাখ ভূমিধস ও বন্যার কবলে পড়তে পারে। এ ছাড়া দুর্বল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা প্লাবিত হলে ছোঁয়াচে রোগ দেখা দিতে পারে।

গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের জেনেভা অফিসের মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেসিস এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা রিচ এবং এশিয়ান ডিজাসটার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার যৌথভাবে এই ঝুঁকি বিশ্লেষণ করেছে।

বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ক্যাম্পের এক-তৃতীয়াংশ বসতি বন্যায় প্লাবিত হতে পারে। এতে পাহাড়ের ঢালে বসবাসকারী ৮৫ হাজারের বেশি শরণার্থী ঘরবাড়ি হারাতে পারে। এ ছাড়াও প্রায় ২৩ হাজার শরণার্থী ভূমিধসের বিপদে রয়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মাণ করা টয়লেট, গোসলখানা, নলকূপ এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি শরণার্থী শিবিরে প্রবেশের রাস্তাগুলো যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়তে পারে। এতে জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোও সম্ভব হবে না। এ ছাড়া ছোঁয়াচে রোগের প্রাদুর্ভাব হতে পারে।

ইউএনএইচসিআরের জেনেভা অফিস থেকে এই বিবৃতি প্রকাশের একদিন আগেই জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি পাহাড়ের খাদে বসবাসকারী প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা পাহাড়ধসে বিপন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন। এই আশঙ্কাকে ‘গুরুতর উদ্বেগের’ বলে মন্তব্য করেন লি।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে নিয়ে তারা রোহিঙ্গাদের ওপর খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ চালালে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে তারা। তাদের আশ্রয় দিতে কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং, বালুখালী এলাকার ঘন বন উজাড় করে পাহাড়ে নির্মাণ করা হয় হাজার হাজার ঘর। পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা এসব ঘরে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা। আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়