মতিনুজ্জামান মিটু : চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাণী সরকারকে ট্রাব আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড- ২০১৭ দেয়া হবে। টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) এর কেন্দ্রীয় কমিটি ও ট্রাব অ্যাওয়ার্ড- ২০১৭ উদযাপন কমিটির সভায় রাণী সরকারকে ওই অ্যাওয়ার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় কাকরাইলের ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে।
বাংলাদেশের অন্যতম চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রানী সরকার (মোসাম্মৎ আমিরুন নেসা খানম) ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার সোনাতলা গ্রামে জন্ম নেন তিনি। তার পিতা সোলেমান মোল্লা এবং মাতা আছিয়া খাতুন। তিনি সাতক্ষীরার সোনাতলা গ্রামের ইউপি স্কুল থেকে প্রাথমিক পাঠক্রম শেষে খুলনা করোনেশন গার্লস স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন। ১৯৫৮ সালে বঙ্গের বর্গী মঞ্চনাটকের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন রানী সরকার।
এই বছরই এ.জে কারদার পরিচালিত ‘দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও’ ছায়াছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। ১৯৬২ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশামুর রহমান পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র চান্দাতে অভিনয় করেন তিনি। সেই ছায়াছবির পর পিতার দেয়া নাম মেরীর বদলে নতুন নাম হয় রানী সরকার। চান্দা চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর উর্দু ছায়াছবি তালাশ ও বাংলা ছায়াছবি নতুন সুর এ কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন রানি সরকার। ছায়াছবি দুটি বেশ জনপ্রিয় হয়। তিনি ২৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বাংলা চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতিতে বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :