শিরোনাম
◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৮:৪৮ সকাল
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৮:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকল চ্যানেলের বালি নিয়ে বিপাকে বিআইডব্লিউটিএ

তরিকুল ইসলাম সুমন : অনিশ্চয়তা কাটছে না বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকলভূক্ত মংলা-ঘাষিয়াখালী নৌপথ বা চ্যানেলের। এ গুরুত্বপূর্ণ নৌ পথের ৩১ কিলোমিটার দুরত্বের (মংলা প্রান্ত থেকে জয় খাঁ) ৫ কিলোমটারের এলাকার নদী দ্রুত ভরাট হচ্ছে। একারণে প্রতিনিয়তই ড্রেজিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। খনন করা পলি ফেলার জায়গা না পাওয়ায় একই জায়গায় এই বালি জমিয়ে রাখতে হচ্ছে। ১৫টি ডাইকে (মাটি রাখায় জায়গা) ৩৫ লাখ ঘনমিটার বা ৬৭ লাখ ২৫ হাজার টন পলি জমেছে (প্রতি ঘন মিটার ১ দশমিক ৯৫ টন হিসেবে)। এগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে আপসারণ করা না হলে ড্রেজিংকাজ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিইটিএ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ছাইদুর রহমান বলেন, মংলা থেকে ঘাষিয়াখালীর দুরত্ব ৩১ কিলোমিটার হলেও মংলা প্রান্ত থেকে জয় খাঁ পর্যন্ত এলাকায় নতুন করে উত্তোলিত পালি বা বালি ফেলার কোনো জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয়দের বিনা পয়সায় এ বালি নিতে বললেও তারা আগ্রহ দেখায়নি। ফলে এ রুটে নাব্যতা সংরক্ষণ করতে আমাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে

তিনি বলেন, চ্যনেল থেকে উত্তোলিত বালি সরানোর জন্য আশেপাশে কোনো জায়গা পাওয়া যায়নি। একারণে নিজস্ব উদ্যোগে ৩৫ লাখ ঘনমিটার বালি সরাতে প্রয়োজন হবে অতিরিক্ত ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা (প্রতি ঘন মিটার ১৫০ টাকা হিসেবে)।

জাহাজ চলাচলের বিষয়ে ছাইদুর রহমান বলেন, পুরো রুটের এখন জোয়ারের সময়ে (১৮-২০ ফুট পানি থাকে) ৮-১২ ফিট ড্রাফটের বেশি জাহাজ চলাচল করতে পারে। কিন্তু ভাটার সময়ে (১২-১৪ ফুট পানি থাকে) এসময়ে ৮ ফিট ড্রাফটের জাহাজ চলাচল করতে পারে।

নদী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টাল ফর ইনভার্নমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফর্মেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস)-এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মমিনুল হক সরকার বলেন, বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকলভূক্ত মংলা-ঘাসিয়াখালী নৌপথ খনন করে নাব্যতা সংরক্ষণ করা কঠিন। এজন্য সারা বছর ধরে ড্রেজিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়