শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০২:০৮ রাত
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০২:০৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় নৌসেনা জলে নামালো তৃতীয় স্করপিন সাবমেরিন

আশিস গুপ্ত ,নয়াদিল্লি: অনেকটাই শক্তি বাড়লো ভারতীয় নৌসেনার।বুধবার জলে নামল ভারতীয় নৌসেনার তৃতীয় স্করপিন সাবমেরিন 'আইএনএস করঞ্জ'। মুম্বইয়ের মাজগাওঁ ডক থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিনটিকে জলে নামানো হয়েছে।

উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লাম্বাও তার স্ত্রী রীনা লাম্বা। টর্পেডো এবং অ্যান্টি-শিপ মিসাইল ব্যবহার করে হামলা চালাতে সক্ষম এই ডুবোজাহাজ। আজ থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে আইএনএস করঞ্জের পরীক্ষামূলক সমুদ্রযাত্রা।ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মোট ছ’টি স্করপিন ক্লাস সাবমেরিন তৈরি করছে ভারত। মোট খরচ ৩০০ কোটি ডলার। এই গোত্রের প্রথম সাবমেরিন আইএনএস কলবরী ২০১৫ সালেই জলে নেমেছিল।

২০১৭-র ডিসেম্বরে সেটি নৌসেনায় কমিশনড-ও হয়ে গিয়েছে।দ্বিতীয় স্করপিন ক্লাস অ্যাটাক সাবমেরিন আইএনএস খান্ডেরি ২০১৭-র জানুয়ারিতে জলে নামে। তার পরীক্ষামূলক সমুদ্রযাত্রা প্রায় শেষ। সে সবের ফাঁকেই নৌসেনার হাতে চলে এল তৃতীয় স্করপেন। স্করপিন ক্লাসের বাকি তিনটি সাবমেরিনের নির্মাণ কাজও দ্রুত এগোচ্ছে। প্রতি ন’মাস অন্তর একটি করে স্করপিন কে জলে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ হচ্ছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।ভারতীয় নৌসেনায় কমিশনড সাবমেরিনের সংখ্যা এই মুহূর্তে মোট ১৫। সেগুলির মধ্যে ১৩টি হল ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন। বাকি ২টি নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন। ভারত মহাসাগরীয় জলভাগের আশেপাশে অবস্থিত প্রায় সব দেশই সাবমেরিন বহরের নিরিখে ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। কিন্তু চিনের মোকাবিলার জন্য ভারতীয় নৌসেনার আরও কিছু সাবমেরিন প্রয়োজন।

সে কথা মাথায় রেখেই ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৬টি স্করপিন সাবমেরিন তৈরির প্রকল্প হাতে নেয় ভারত।২০১৬-র সেপ্টেম্বরে স্করপিন সাবমেরিন খবরের শিরোনামে এসেছিল। এই সাবমেরিনগুলি সম্পর্কে বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল এবং তা অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়েছিল। তা নিয়ে প্রবল তোলপাড় শুরু হয়। তবে ভারতীয় নৌসেনা বলছে, তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলে এই সাবমেরিনের সক্ষমতা কমে যাচ্ছে, তেমনটা নয়। বরং স্করপেন ক্লাস সাবমেরিনগুলি একে একে জলে নামতে শুরু করায় ভারতীয় নৌসেনার সক্ষমতা দ্রুত বাড়ছে বলে বাহিনীর কর্তারা মনে করছেন।স্করপেন সাবমেরিন লুকিয়ে হামলা চালাতে অত্যন্ত পারদর্শী। জলের তলা দিয়ে যাতায়াতের সময় সাধারাণ ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিনের ইঞ্জিন থেকে যতটা শব্দ নির্গত হয়, স্করপেনের ক্ষেত্রে তা হয় না। স্করপেনের ইঞ্জিন খুব কম শব্দ করে।

ফলে প্রতিপক্ষের রাডার তাকে সহজে চিহ্নিত করতে পারে না। ফলে এই সাবমেরিন প্রতিপক্ষকে চমকে দিয়ে হামলা চালাতে সক্ষম।স্করপিন থেকে টর্পেডো এবং অ্যান্টি-শিপ মিসাইল নিক্ষেপ করা যায়। জলের তলা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ, দু’রকম অবস্থান থেকেই হামলা চালানোর সক্ষমতা রয়েছে স্করপিন'র । এ ছাড়া গুপ্তচরবৃত্তি চালানো, সাবমেরিন-বিধ্বংসী যুদ্ধে অংশ নেওয়া এবং মাইন পাতার কাজেও স্করপিন'র জুড়ি নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়