ফারমিনা তাসলিম: গত ১০ বছর ধরে হত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নামের সঙ্গে নাম মিল থাকায় ভারতে জেল খাটছেন বাংলাদেশি যুবক বাদল ফরাজি। ভারতীয় গণমাধ্যমের সমালোচনা ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের অনুরোধ উপেক্ষা করেই তাকে ওই দন্ড দেন দিল্লির হাইকোর্ট। তবে তার মুক্তির দাবি নিয়ে ভারতের মানবাধিকার কর্মীরাও সরব আছেন। অনলাইনে আবার পিটিশনও চলছে।
বাঘেরহাটে বাদল ফরাজি তাজমহল দেখতে আগ্রার উদ্দেশে গত ২০০৮ সালের ১৩ জুলাই রওনা দেন তিনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের হরিদাশ পৌঁছানোর পর পরই তাকে আটক করে বিএসএফ। তার বিরুদ্ধে একজন বৃদ্ধা হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
যদিও ওই হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজনের নাম ছিল বাদল সিং। শুধু নামের মিল থাকায় হত্যা মামলায় বাংলাদেশের বাদল ফরাজিকে জড়ানোর বিরুদ্ধে ২০১২ সালে সরব হয় ভারতের গণমাধ্যম। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরে বাদলের মুক্তি চেয়ে চিঠি দেয় বাংলাদেশ হাইকমিশনও। সব কিছু উপেক্ষা করে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট বাদলকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন দিল্লির আদালত।
তবে তিহার জেলের অন্ধকার জীবনে হতাশার মোড়কে বন্দি থাকেননি বাদল। কারাগারের ভেতরেই পড়াশোনায় মনোযোগী হন। গেলো এক দশকে দশম, দ্বাদশ ও স্নাতক ডিগ্রি পাশ করেন তিনি। ১৮ বছরের তরুণ বাদল এখন ২৮ বছরের যুবক।
দিল্লিতে কারাবন্দি বাংলাদেশি বাদল ফরাজি জানান, বিনা অপরাধে কারাভোগ করলেও গত ১০ বছরে সে অনেক কিছু শিখেছে। এখন সে অতীত ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে চায়।
নিরপরাধ এই যুবকের মুক্তির দাবিতে আবারও জেগে উঠেছে, ভারতের মানবাধিকার কর্মীরা। অনলাইনে শুরু করেন 'জাস্টিস ফর বাদল' নামে পিটিশন। যাতে সই করেন কয়েক’শ মানুষ। শিগগিরই এটি জমা দেয়া হবে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর