শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:০৩ সকাল
আপডেট : ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার দায়িত্ব কার ?

রবিউল আলম : বিচার বিভাগ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, মাঝে মাঝে হচ্ছে সুকৌশলে। কখন যে কে আলোচনায় আসে বলা মুশকিল। যার যার স্বার্থ নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আবার সমালোচনাতেও অংশ নেন। বিচারের রায় কি হতে পারে, কি অপরাধ করলে কি সাজা হয়, সব বিষয় আইনের বইয়ে লেখা থাকে। আমরা যারা ছাপোষা লেখক তারা কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দে থাকি। যারা আইনজীবি তারাতো এক কথায় বলে দিতে পারে খালেদা জিয়ার কি সাজা হতে পারে। তার উপর দেশের বড় বড় আইনজীবি নিয়োগ দেয়া হয়েছে খালেদা জিয়ার জন্য। ভারতীয় একটি ছবি দেখেছিলাম, নামটা এখন আর মনে নেই, বিচারক এজলাসে বসে আক্ষেপ করে বলছেন, মামলার প্রথম দিনই আমি বলতে পারি অপরাধের মাত্রা ও কি রায় হতে পারে। কিন্তু আমি কি করবো, আমিতো বিচারকের আসনে। আমাকে প্রমাণের অপেক্ষায় থাকতে হয়। কখন প্রমাণ আসবে, কখন স্বাক্ষী আসবে। আজ সব এসেছে, অপরাধীর বিচার হবে। বিপক্ষ উকিলের হুমকি ধামকি কোন কিছুই আমলে নেয়া হয় নাই। খালেদা জিয়ার জগৎ বিখ্যাত আইনজীবিরা বিচার শুরু আগে থেকেই বুঝতে পেরেছেন কি রায় হতে পারে। রায় ঘোষণা হবে ৮ই ফেব্রুয়ারী। যুক্তিতর্ক শেষ হতে না হতেই শুরু করা হলো হুংকার - খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া ছাড়া এদেশে নির্বাচন হতে পারবে না, হতে দেওয়া হবে না, খালেদা জিয়ার জেল হলে, মুক্তির আগেই এই সরকারের পতন হবে ইত্যাদি ইত্যাদি হুংকারের আর শেষ নেই। হুংকার শুনে মনে হয়, বিএনপি’র দয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে এই সরকার জনগণের সেবা করছে, রাষ্ট্র পরিচালনা করছে এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। বিএনপি চাইলেই সব করতে পারে, বিএনপি চাইলেই বিচার ব্যবস্থা থাকবে না, বিএনপি নেতারা চাইলেই খালেদা জিয়াকে বিচারের আওতামুক্ত করতে হবে। আইনের শাসনের জন্য একজন পকেটমারকে জেলে যেতে হয়। পেটের দায়ে হোটেলের কর্মচারীর রুটি চুরির অপরাধে বিচার হতে পারে। দেশের সর্বোচ্চ আসনে বসে এতিমের টাকা চুরির বিচার হলে দেশ অচল করে দেয়া হবে - আদালতের রায়ের উপর এ কোন ধরনের হুমকি। আমার ব্যক্তিগত মতামত, বিএনপি’র নেতারা কি আদালতকে হুমকি দিচ্ছেন, না কি আদালতের বিচার করবার ঘোষণা ৮ তারিখের রায় দেখে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন। বিচার বিভাগের বিচার করবেন. নাকি সরকারের পতন, দেশ অচল ও জনগণকে চলতে দিবেন না বলে কর্মসূচী ঘোষণা করবেন। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জেলখানা ছাড়া থাকবেন না, অনেক নেতা অনেক ঘোষণা দিয়েছেন বিচারের রায়ের আগে। বিচারের রায় ঘোষণা করবে কে, বিচারকের কাজ হচ্ছে স্বাক্ষীপ্রমান দেখে রায় ঘোষণা করা। বিএনপি নেতারা কি সেই রায়ও ঘোষণা করতে দিবেন না। নিজেরাই দেশের জনগণকে জানিয়ে দিচ্ছেন খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার বিচারের রায়।
লেখক : ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়