আশিস গুপ্ত, নয়াদিল্লি : দু’দিন আগেই গত রোববার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে নারী শক্তির জয়গান গেয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারের শ্লোগান 'বেটি বাঁচাও -বেটি পড়াও' অর্থাৎ, কন্যা বাঁচাও-কন্যা পড়াও। তাছাড়া একবিংশ শতক, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, নতুন ভারত, এইসব স্লোগান এখন মুখেমুখে। টিভি খুললেই সুখী সুখী ভাব। মনে হয়, স্বাধীনতার পরে কয়েক শো যোজন যেন এগিয়ে গিয়েছে ভারতবর্ষ । আর সে সবের নীচে চাপা পড়ে যায়, কন্যা সন্তানদের নিয়ে মা-বাবার ভাবনার অন্ধকার দিক।
দেশের ২ কোটি ১০ লক্ষ মা-বাবাই চাননি তাঁদের মেয়ে হোক, ভারতের অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট অন্তত এমনটাই জানাচ্ছে। সোমবার ভারতীয় সংসদে পেশ হয়েছে অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট ২০১৮। দেশে লিঙ্গ অনুপাত এখনও সন্তোষজনক নয়। কারণ, যতদিন না কাক্সিক্ষত সংখ্যায় পুত্রসন্তান হচ্ছে কন্যাসন্তান হওয়ার পরেও ততদিন সন্তান ধারণ করে চলেছেন নবীন বধূরা।
২৫ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলার মা-বাবার ওপরে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে দেশে দু’কোটির ওপর ‘অনাকাক্সিক্ষত কন্যাসন্তান’ রয়ে গিয়েছে। এঁদের মা-বাবারা প্রত্যেকেই পুত্র সন্তান চেয়েছিলেন। ২০১৭ সালে নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণমূলক অর্থনীতিবিদ সীমা জয়চন্দ্রণ ‘সন মেটা প্রেফারেন্স’-এর কথা বলেন। যার মোদ্দা কথা হলÑ কন্যাভ্রুণ হত্যা হয়ত হয়নি, তবে পুত্র সন্তানের প্রতি পক্ষপাতিত্ব রয়ে গিয়েছে। তার ভিত্তিতে এবার সমীক্ষা করা হয়েছিল। এই প্রথম এই ধরনের সমীক্ষা হল। সেখানেই ধরা পড়েছে মা-বাবার চিন্তার ভয়াবহ দিক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘দম্পতিরা কন্যাসন্তানকে ক্ষতিকারক মানেন। কারণ, তাঁরা মনে করেন মেয়েরা তাঁদের সামান্য উপকারেও লাগবে না ।’
আপনার মতামত লিখুন :