শিরোনাম
◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:৫৬ সকাল
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আনিসুলের অনুপস্থিতি স্পষ্ট হয়ে উঠছে!

রাশিদ রিয়াজ : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের অনুপস্থিতি স্পষ্ট হয়ে উঠছে মর্মান্তিভাবে। তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে তিনি যে ট্রাক স্ট্যান্ড অপসারণ করেছিলেন, সেখানে ধীরে ধীরে ট্রাকগুলো ফিরে আসছে সারিবদ্ধভাবে। অবৈধভাবে ট্রাকের অবস্থান দীর্ঘ হচ্ছে ক্রমান্বয়ে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন স্থগিত হয়ে আছে আদালতের নির্দেশে। ফলে ভোটাররা ভোট দিয়ে তাদের মেয়র নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন না। মেয়রের অভাবে ঢাকা উত্তরের উন্নয়নের দশাও হোঁচট খাচ্ছে।

আনিসুল হকের উপস্থিতিতে প্রথমে কাভারভ্যান সাতরাস্তা মোড় সংলগ্ন সড়কে দুই একটি করে অবস্থান নিতে থাকে। কোনো বাধা না আসায় এসব যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। দুইবছর আগে এলাকাবাসী সহ তেজগাঁও শিল্পএলাকার সংশ্লিষ্ট সবার দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছিলেন মেয়র আনিসুল হক। সেখানকার রাস্তা ট্রাকমুক্ত হয়েছিল। দশকের পর দশক ট্রাক, পিক আপ ও কাভারভ্যানগুলো সাতরাস্তা সড়কের দুই পাশ দখল করে ছিল। সন্ধ্যার পর ওই এলাকায় বিপদে না পড়লে কেউ সহজে পা মাড়াতেন না। মাদক সেবী, ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অনেক চাপ থাকা সত্বেও মেয়র আনিসুল হক সেখান থেকে ট্রাক স্ট্যান্ড অপসারণ করেন। একটি আধুনিক টয়লেট নির্মাণ ছাড়াও গাছ লাগানো হয়।
বিজি প্রেস কলোনির বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন জানান, অবৈধ দখল ফের শুরু হয়ে গেছে। ভূমি রেকর্ড ও সার্ভে বিভাগের পেছনের রাস্তা আগের মতই ট্রাক স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। দিনের বেলায় এসব হচ্ছে।

এলাকার আরেক বাসিন্দা মোহাম্মদ আসিফ বলেন, তেজগাঁও সড়কের সঙ্গে কাওরান বাজার ও সাতরাস্তার সংযোগ স্থল আর গাবতলী বাস স্ট্যান্ডের সঙ্গে কোনো পার্থক্য নেই। সিটি করপোরেশনের কাজের গতি দেখেছিলাম কিন্তু আনিসুল হকের মৃত্যুর পর তা স্থবির হয়ে পড়েছে।

এখন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আদালত স্থগিত করায় সার্বিক পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। গত ৩০ নভেম্বর আনিসুল হকের মৃত্যুর পর বেশকিছু উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সাতরাস্তা থেকে আব্দুল্লাপুর পর্যন্ত ১১টি ইউলুপ নির্মাণ কাজ। এই কাজের জন্যে সিটি করপোরেশনের জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন এবং এসব ভূমির মালিক সড়ক ও জনপথ বিভাগ, রেলওয়ে ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এসব ভূমি অধিগ্রহণে এখনো অনুমতি পায়নি। আগামী বছরের জুন নাগাদ এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর ভাগ্য এখন অনিশ্চিত। নিজউদ্যোগে আনিসুল হক অনেক কাজ করতেন যা এখন আর হচ্ছে না। অধিকাংশ চলমান প্রকল্পে কাজের মানে অবনতি ঘটেছে। কাজি নজরুল ইসলাম সড়কে হোটেল সুপার স্টার ও পিপলস সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সামনের ফুটপাতের সিরামিক টাইলসের কাজ শেষ হওয়ার মাত্র দেড় মাসের মধ্যে টাইলসগুলো ভেঙ্গে গিয়েছে।

মিরপুর ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, আনিসুল হকের নেতৃত্বে সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদের পর অবৈধ দখলদাররা ফের ফুটপাত ও রাস্তা দখল করতে শুরু করেছে। কালশী সড়কের অনেক অংশে ফের উচ্ছেদকৃত স্থান পুনরায় দখল হয়ে গেছে। পল্লবীর মসলিম বাজারে অধিকাংশ এলাকা পুনরায় দখল হয়ে গেছে। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম রতন জানান, নেতৃত্বের অভাবে করপোরেশনের কাজে গতি হ্রাস পেয়েছে। করপোরেশনের কর্মকর্তারাও স্বীকার করছেন প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্বের অভাব দেখা দিয়েছে। প্যানেল মেয়র হিসেবে ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলন মোহাম্মদ ওসমান গনি আর কাজ করছেন না। তিনি স্বীকার করেন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের ওপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তিনি বলেন, একজন প্যানেল মেয়র যদি মেয়রের স্ট্যাটাস না পান তাহলে তার পক্ষে কাজ করা খুব কঠিন। তিনি জানান, নতুন অন্তর্ভূক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজ সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের অপেক্ষায় পড়ে আছে। দেড় মাস হলেও অনুমোদন মেলেনি।

এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তহবিল সংকট রয়েছে। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ১১’শ ২০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আদায় করেছে ৬’শ কোটি টাকা। যা উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। ডেইলি স্টার থেকে অনুবাদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়