শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:৫৩ সকাল
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এমন বিধান সম্বলিত কোনো দেশকে আমরা সভ্য দেশ বলতে পারি না

গোলাম মোর্তোজা : কোনো একটি সমাজ কতটা সভ্য, তার বড় প্রমাণ হচ্ছে সেই সমাজে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ব্যবস্থা কেমন? মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে, যে যেভাবে চিন্তা করে, সে তার চিন্তাটি সেভাবে প্রকাশ করতে পারে কি-না। তার মতের সাথে আপনি একমত পোষণ করতে পারেন, দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। মতামতটিকে গুরুত্ব দিতে পারেন অথবা গুরুত্ব নাও দিতে পারেন। কেউ যদি সুষ্ঠু প্রক্রিয়াতে গালাগালি না করে আপনি যে কাজ করছেন, সেই কাজের পক্ষে বা বিপক্ষে আলোচনা বা সমালোচনা করে এবং সেটি যদি তার সমালোচনা করার বা প্রকাশের অধিকারে থাকে, এর জন্য যদি তার কোনো সমস্যা না হয়, এমন একটি অবস্থা যদি সমাজে বিরাজমান থাকে, তাহলে সেই সমাজটিকে আমরা বলতে পারি সভ্য সমাজ। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, এখানে এমন একটি অবস্থা থাকুক আমরা প্রত্যাশা করি। যে দেশে ৫৭ ধারার মতো আইন করা হয়, যে দেশে ৫৭ ধারার মতো আইন করে যারা কাজ করবেন, যারা মত প্রকাশ করবেন, যারা দ্বিমত প্রকাশ করবেন, যারা আলোচনা সমালোচনা করবেন, তাদের মত প্রকাশকে বাধাগ্রস্থ করা হয়, মত প্রকাশের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়, এমন বিধান সম্বলিত কোনো দেশকে আমরা সভ্য দেশ বা সভ্য সমাজ বলতে পারি না। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে এরকম একটি অবস্থা বিরাজ করছে। এই দেশে ৫৭ ধারার মতো একটি আইন করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সংবাদকর্মীদের অথবা সাংবাদকর্মীদের যে সমস্ত সংগঠন আছে, তাদের সাংগঠনিকভাবে যতটুকু জোড়ালো ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, তারা ততটা জোড়ালো ভূমিকা নিতে পারেননি। তারপর সেখান থেকে প্রতিবাদ হয়েছে। সমাজের সর্বস্তর থেকে প্রতিবাদ করেছে। গণমাধ্যম প্রতিবাদ করেছে। সে প্রতিবাদের ভিত্তিতে সরকার ৫৭ ধারা বাদ দিবে, না পরিবর্তন করবে, সেরকম একটি সিদ্ধান্তের মধ্যে পৌঁছায়। আমরা আশাবাদি ছিলাম, ৫৭ ধারা পরিবর্তন হবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখলাম, ৫৭ ধারা পরিবর্তন না করে ৫৭ ধারা অন্য নামে অর্থাৎ আইসিটি আইনের ১৯ ও ২০ ধারায় হুবহু রাখা হয়েছে। একটু শব্দের এই দিক সেই দিক করে আইন করা হল। মূল কথা ৫৭ ধারায় যে ব্যবস্থা নেওয়া যেত, ৫৭ ধারা যে ভয় এবং আতঙ্ক তৈরি করত, আইসিটি আইনের ১৯ এবং ২০ ধারায় সেভাবে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করবে। এমন আইন একটি গণতান্ত্রিক দেশেতো থাকা উচিতই নয়, অগণতান্ত্রিক দেশেও থাকা উচিত নয়। বাংলাদেশের মতো দেশে এমন ধারা কোনোভাবে প্রত্যাশিত নয়। আগে যে আইন সংযুক্ত করা হয়েছিল, সেখান থেকে সরে না এসে পুরনো আইনকে নতুন মোড়কে রাখা হয়েছে বা করতে যাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্যে, বাংলাদেশের ইমেজের জন্যে কোনোভাবে ভালো কিছু নয়।

পরিচিতি : সম্পাদক, সাপ্তাহিক
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়