শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:১৪ সকাল
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এক পায়ে ভর করে চালাচ্ছেন সংসার!

ডেস্ক রিপোর্ট : এক পায়েই সবকিছু। চাল কলে এক পা হারিয়ে মনের জোর হারাননি বিল্লাল। জমি-জমাহীন বিল্লাল অর্থাভাবে লেখাপড়া করতে পারেননি। সংসারের হাল ধরতে হয়েছে ১৩ বছর বয়সেই। এক পায়ে ভর করে চালাচ্ছে সংসার। প্রতিবন্ধিত্ব দমাতে পারেনি বিল্লালকে।

প্রতিবন্ধিত্বকে জয় করে বাঁচার জন্য দিনমুজুরি করে সংসার চালায়। ভিক্ষা করতে মন চায় না বিল্লালের। দেখেন করুণার চোখে। কারও দয়া নেবেন না। মন খারাপ না করে সিদ্ধান্ত নেন খেটে খাবার। ১৭ বছর দিনমজুরি করে সংসার চালাচ্ছেন। হার-না-মানা ওই ব্যক্তির নাম বিল্লাল খান। বয়স ৩৭ বছর। বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চৌরাঙ্গা গ্রামে। জীবিকার প্রয়োজনে ২০০৮ সালে মতলব দক্ষিণ উপজেলায় আসেন। স্ত্রী, ২ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে নবকলস এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। বিল্লাল বলেন, তাদের জমিজমা নেই। অর্থাভাবে লেখাপড়া করতে পারেননি। সংসারের হাল ধরতে ১৩ বছর বয়সেই শুরু করেন দিনমজুরের কাজ। এ-কাজ, ও-কাজ করে যা পেতেন, তা দিয়েই চলত সংসার। ১৯৯৮ সালে শ্রমিকের কাজ নেন হাজীগঞ্জ উপজেলায় এক ব্যক্তির চালের কলে। ওই বছর কল চালাতে গিয়ে আচমকা কলের বেল্ডের সঙ্গে পরনের লুঙ্গি আটকে ডান পা ভেঙে যায় এবং বম পা জখম হয়। ওই দিন ভর্তি হন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে। পরে ডান পা কেটে ফেলেন চিকিৎসকেরা। তখন থেকে হাঁটতে হয় ক্রাচে ভর করে।

বিল্লাল আরো বলেন, পা হারানোর পর আশপাশের অনেকেই ভিক্ষা করতে বলেন। করুণার চোখেও দেখতেন অনেকে। তবু মন খারাপ করতেন না। সিদ্ধান্ত নেন খেটে আয়রোজগার করবেন। কারও দয়া নেবেন না। এরপর ফরিদগঞ্জের টোরা মুন্সীরহাট বাজারে একটি চায়ের দোকান দেন। ওই দোকানের আয় দিয়ে পরিবারের সবার মুখে দুবেলা ভাত জোটাতে পারতেন না। ২০০৮ সালে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আসেন মতলব দক্ষিণ উপজেলায়। ভাড়াবাসা থেকে ক্রাচে ভর করে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির ইট ভেঙে সুরকি তৈরির কাজ করেন। সকাল-সন্ধ্যা কাজ করে প্রতিদিন পান ৩০০-৩৫০ টাকা। এ টাকায় চলছে সংসার।

অর্থাভাবে বড় মেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারেননি। মতলব কলাদী এলাকার জিল্লুর রহমান বলেন, ইচ্ছা থাকলে যে সব বাধাই জয় করা সম্ভব, সেটি দেখিয়েছেন বিল্লাল। তার পায়ের অবস্থা দেখে প্রথমে তাকে দিয়ে ইট ভাঙাতে চাননি। পরে তার মনের শক্তি ও সংসারের অভাবের কথা জেনে কাজ দেন। মতলব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল ইসলাম বলেন, অনেক সক্ষম মানুষই কাজ করে খেতে চায় না। শারীরিক প্রতিবন্ধিকতা জয় করে বাঁচার জন্য ওই ব্যক্তি লড়াই করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়