স্পোর্টস ডেস্ক: ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ৭৯ রানে বাংলাদেশের বিশাল হার ক্রিকেটের সবার জন্যই অপ্রত্যাশিত। ফাইনালে ক্রিকেটাররা ব্যাটিং বান্ধব উইকেট ছেয়েছিলেন। প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাও আশ্বস্ত করেছিলেন বিসিবিকে। কিন্তু হয়েছে ঠিক তার উল্টো। জটিল এক উইকেট বানিয়ে নিজ মাঠে তামিমদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দেন মোটা বেতন ভুক্ত বিসিবির শ্রীলঙ্কান এ কিউরেটর।
বিসিবি চেয়েছিল ব্যাটিং উইকেট। যে কারণে ফাইনালের আগের দিন উইকেটে পানি দিতে নিষেধ করা হয়েছিল গামিনীকে। কিন্তু বোর্ডের কথা শোনেননি তিনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ফাইনালের আগে একাডেমী ভবনে দেড় ঘণ্টা হাথুরুসিংহের সাথে গোপন বৈঠক করেছেন তিনি। উইকেটের ব্যাপারে স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করেছেন শ্রীলঙ্কার কাছে। এ নিয়ে রিপোর্টও হয়ছে কিছু মিডিয়ায়।
কিউরেটর গামিনিকে নিয়ে ফেসবুকেও চলছে সমালোচনার ঝড়। সাবেক ক্রিকেটাররাও প্রধান কিউরেটরের কর্তব্যে খুশি নন। তাকে নিয়ে বিসিবিতেও অসন্তোষ দানা বেঁধেছে ভিতরে ভিতরে। তবে আপাতত মুখ খুলতে চাইছেন না কেউ। দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনও রক্ষণাত্মক।
ঢাকা ছেড়ে চট্টগ্রামে টেস্ট খেলতে দল নিয়ে যাওয়ার আগে সাবেক অধিনায়ক গামিনিকে নিয়ে বললেন, ‘সবাই জানে, বিষয়টা নিয়ে সবাই কনসার্ন ছিল, বোর্ডও উদ্বিগ্ন ছিলো। মাহবুব ভাই ব্যাপারটা নিয়ে অনেক সোচ্চার ছিলেন। এ বিষয়টা নিয়ে ম্যাচ শেষে অনেক কথাও হয়েছে।’
যদিও, পিচের দোহাই দিয়ে ব্যর্থতাকে ঢাকতে চাইলেন না সুজন। বললেন, ‘তারপরও আমরা বলবো, যে রানটা আমাদের তাড়া করার কথা ছিল মানে ২২০ রান, সেটা করার সামর্থ্য আমাদের এই দলটার আছে।’
ক্রিকেট বোদ্ধরা মনে করেন, এই ঘটনায় খানিকটা দায় নিতে হবে খোদ বিসিবিকেও। বরাবরই গামিনি’র বিরুদ্ধে এমন বড় ধরণের অভিযোগ থাকার পরও সংস্থাটি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে এসেছে। ত্রিদেশিয় সিরিজের আগে চট্টগ্রাম থেকে কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবুকে উড়িয়ে এনে টুর্নামেন্টের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে সেই পথ থেকে সরে আসে বিসিবি। ঢাকাটাইমস
আপনার মতামত লিখুন :