মেজর (ডা.) খোশরোজ সামাদ : ১। ট্রাম্প। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। সন্ত্রাসের ধুয়ো তুলে ইসলামবিরোধী মেনিফেস্টো দিয়ে প্রাক-নির্বাচনি মাঠ গরম করেছিলেন। ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন মুসলিম দেশের নাগরিকদের মার্কিনমুলুকে প্রবেশই বন্ধ করে দেন।
২। চালাক ট্রাম্প ক্ষমতার মসনদে বসেই সৌদি সফর করে বিশ্বকে হতবাক করে দেন। সৌদী-আমেরিকা বৈঠকে ইসরায়েল প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও ইরানের গায়ে সন্ত্রাসীর প্রলেপ মাখানো হয়। কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি ট্রাম্পের সৌদি সফরের শানে নজুল সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়।
৩। অস্থির সৌদি এরপরেই কাতারকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের তীর হানে। ঘোষণা করা হয় একের পর এক আল্টিমেটামের রণ দুন্দুভি। মাস তিনেক আগে দোহায় ক্যামেরাবন্দি হওয়ার সময় ভাবেনি যে, কাতারকে এই জ্বালায় জ্বলতে হবে।
৪। বিস্ময়ের বিষয়, যুক্তরাষ্ট্রকে এই সময়ই কাতারের কাছে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করতে দেখা যায়। মুখোমুখি অবস্থান নেয়া দুই দেশে প্রায় একই সাথে অস্ত্র বিক্রি মার্কিনিদের দ্বৈতমুখী পররাষ্ট্রনীতি নগ্নভাবে প্রকাশিত হল।
৫। মুসলিম বিশ্বের মুখোমুখি অবস্থান দেখে ইসরায়েল আরেক বার মনের সুখে ডুগডুগি বাজাবার সময় পেল।
লেখক : উপ-অধিনায়ক, আর্মড ফোর্সেস ফুড অ্যান্ড ড্রাগস ল্যাবরেটরি
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :