শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারী, ২০১৮, ১১:৩৬ দুপুর
আপডেট : ২৯ জানুয়ারী, ২০১৮, ১১:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড

রাজেকুজ্জামান রতন : আমাদের স্বাধীনতার পরে রাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গীকার ছিল শিক্ষাকে জাতীয়করণ করা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাইমারী স্কুলগুলো জাতীয়করণ হয় এবং আমাদের সংবিধানে আছে যে, রাষ্ট্র আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তরে সকলের জন্য একই পদ্ধতির অবৈতনিক শিক্ষা দানের বিষয় নিশ্চিত করা হবে। ছাত্রদের যদি শিক্ষাটা অবৈতনিক হয়, তাহলে শিক্ষকদের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই তো নিতে হবে। একটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, তার সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করা, আধুনিক জ্ঞানের সাথে সমাজের মানুষদের সম্পৃক্ত করা। এই সব ক্ষেত্রে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। একটা দেশের মোট উন্নয়নের শতকরা ৬৫ ভাগ আসে শিক্ষা থেকে। আমাদের দেশটাকে যদি উন্নত করতে হয়, দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হয়, নিরবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্থায়ী উন্নয়নের কাঠামোতে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করতে হবে আমাদের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর উপরে। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। মানব সম্পদকে যদি উন্নত করতে পারি, তাহলে এই সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে আমরা আমাদের দেশটাকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে পারবো। এই বিবেচনা থেকে শিক্ষকদের দায়িত্ব রাষ্ট্রের নেয়া উচিত। শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা করার জন্যেই শিক্ষকরা আজকে রাজপথে নেমেছে। শিক্ষাকে জাতীয়করণ করার জন্য। রাষ্ট্র যে এই বারো দিনেও তাদের দিকে তাকাচ্ছে না। এ থেকে বোঝা যায়, শিক্ষার প্রতি রাষ্ট্র কতটা উদাসীন। শিক্ষকরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত। শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করা উচিত। আলোচনা করে এর একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এটা ধাপে ধাপে করা যেতে পারে। শিক্ষকরা রাস্তায় পড়ে থাকলে যেমন শিক্ষকদের সম্মান বাড়ে না, তেমনি রাষ্ট্রও দায়িত্বহীনতায় ভুগবে। শিক্ষকদের থাকার কথা ক্লাস রুমে, তারা শুয়ে আছে ফুটপাতে। এটা আমাদের জাতির জন্য লজ্জার ও দুঃখের ব্যাপার। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যই শিক্ষাকে রক্ষা করা দরকার। আজ থেকে ২০ বছর পড়ে গ্যাস থাকবে না, কিন্তু মানুষ তো থাকবে। তাদের শিক্ষার প্রয়োজন হবে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। আমাদের শিক্ষকরা সামান্য বেতনের জন্য রাস্তায় পড়ে থাকবে এটা হতে পারে না। রাষ্ট্রের এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
পরিচিতি : কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য, বাসদ
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : গাজী খায়রুল আলম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়