হামিম আহসান: দুই দিন পরেই শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে গ্রন্থমেলা। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে বেশ জোরেশোরে। মেলাকে আকর্ষণীয় করতে প্রধান গেটগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করার কথা জানিয়েছে বাংলা একাডেমি। এ ছাড়া মেলার নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়নের পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মেলায় আসা বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য দেয়া হবে বিশেষ নিরাপত্তাকর্মী। আর মেলায় প্রবেশের সময় প্রত্যেককে কড়া তল্লাশি করা হবে।
এখন মেলার আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। মেলাকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেখক, প্রকাশক ও স্টল মালিকরা। মাসব্যাপী এ মেলার স্টল বরাদ্দের টিকিট যারা পেয়েছেন তারা এখন স্টল সাজাতে ব্যস্ত।
গ্রন্থমেলা উপলক্ষ্যে নির্মাণ শ্রমিকদের ব্যস্ততা স্টল নির্মাণে, অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চলছে বই ছাপা ও বাঁধাইয়ের কাজ। রংয়ের ছোঁয়া রাঙিয়ে তুলছে প্লাইউডের সাদামাটা কাঠামোগুলোকে, সমানতালে চলছে হাতুড়ি-বাটালি আর পেরেকের ঠোকাঠুকিও। চলছে স্টল কাঠামো নির্মাণের কাজ।
এবছর মেলার পরিসর আরো বেড়েছে। ইতোমধ্যে মেলাকে প্রাণবন্ত করতে সকল ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলা একাডেমি।
আয়োজকরা জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১২টি চত্বরে ভাগ করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে সাজানো হয়েছে স্টলগুলো। প্রতিটি চত্বরেই আলাদা রঙের এলইডি বাতির সাহায্যে বর্ণিল রূপ দেয়া হবে। স্টলসজ্জায়ও সেই বিশেষ রঙের প্রাধান্য দিচ্ছে একাডেমি। কবি-সাহিত্যিক-মনীষীসহ বিশিষ্টজনদের নামে হবে ১২টি চত্বর। মূল দুই প্রবেশপথ দোয়েল চত্বর ও টিএসসি এলাকার দৃষ্টিনন্দন দুটি ফটকে স্থাপিত ইলেকট্রনিক বোর্ডের মাধ্যমে মেলা সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্দেশিকা উপস্থাপিত হবে।
বাঙালির ভাষা, আবেগ ও সংস্কৃতি ঐতিহ্যের এ মেলা পাঠকের সামনে জ্ঞানের নতুন দ্বার উন্মোচিত করবে এমন প্রত্যাশা সকলের।
সূত্র: ডিবিসি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :