ডেস্ক রিপোর্ট: কাবুলে আত্মঘাতী অ্যাম্বুলেন্স বোমা হামলায় শতাধিক মানুষের মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে। নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে আফগানরা।
শনিবার দুপুরের ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৩ জন এবং আহতের সংখ্যা ২৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সরকার রোববার দেশে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে।
তালেবান হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে চালানো হামলার দায়ও স্বীকার করেছিল বিদ্রোহী এই গোষ্ঠী। গত মে মাসের পর থেকে কাবুলে শনিবারের হামলাটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী। এ হামলার ঘটনায় আফগানদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
নিরাপত্তায় অভাবের কারণে কয়েকটি বিদেশি সংগনঠনও আফগানিস্তানে তাদের উপস্থিতির বিষয়টি পুনরায় ভেবে দেখছে বলে খবর পাওয়া গেছে। দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তাদের প্রশ্ন, “আমরা কিভাবে বেঁচে আছি? আমরা যাব কোথায়?”, “আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমদের উপযুক্ত সরকার নেই। আমরা কি করব?”
টুইটারে শোকার্ত একজনের উক্তি, “আমরা এতটাই ভেঙে পড়েছি যে নতুন দিন কিভাবে শুরু করব তাও জানিনা।”
ফেইসবুকে আরেকজনের মন্তব্য, “এটি সরকারের জন্য একটি বিরাট লজ্জ্বার ব্যাপার। নেতাদেরকেও তাদের ছেলে বা মেয়ে হারাতে হলে তারা গরিব জনগণের দুঃখ বুঝতে পারতেন।”
আফগানিস্তানে একের পর এক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা তল্লাশি জোরদার করা হলেও শনিবারের হামলাটিতে এম্বুলেন্স ব্যবহারের কারণে সহজেই চেকপয়েন্ট অতিক্রম করে হামলা চালানো সম্ভব হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসরাত রাহিমি বলেছেন, নিরাপত্তা তল্লাশিকেন্দ্রে পুলিশকে রোগী হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে হামলাকারী ছাড় পেয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয় একটি চেকপয়েন্টে গিয়ে সে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
হামলায় এম্বুলেন্স ব্যবহার খুবই ‘মারাত্মক ব্যাপার’ বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার দল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার দোসরদের এ স্পষ্ট বার্তাই দিয়েছে যে, তারা আগ্রাসী নীতি নিয়ে চললে এবং বন্দুকের ভাষায় কথা বললে বিনিময়ে তারা আফগানদের কাছ থেকে ফুল ফোটানোর আশা করতে পারবে না।
কাবুলে এম্বুলেন্স বোমা হামলার পর তালেবানের বিরুদ্ধে ‘চূড়ান্ত ব্যবস্থা’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এর আগে গত বছর ট্রাম্প আফগানিস্তানে আরো বেশি সেনা পাঠিয়ে বিমান হামলা জোরদার করা এবং আফগান বাহিনীকে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সূত্র : বিডিনিউজ
আপনার মতামত লিখুন :