ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম
বাজেটে সবসময় নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয় ছাড়াও অতিরিক্ত একটি বাজেট করা হয়। দেশে বিভিন্ন সময় নানান ঘটনার কারণে অতিরিক্ত ব্যয় হয়। যার জন্য এই বাজেটটি করা হয়। রোহিঙ্গারা আমাদের বাজেটের বহির্ভূত। কিন্তু তাদের পেছনে আমাদের একটি ব্যয় আছে। সেই ব্যয়টিও অতিরিক্ত খাত থেকে যাচ্ছে। তাছাড়া কিছু বিদেশি সংস্থাও রোহিঙ্গাদের জন্য অনুদান দিচ্ছেন। তারপরও এটি ঠিক যে, তারা আমাদের অর্থনীতির উপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করছে। তবে অর্থনীতি থেকে বড় বেশি সমস্যা করছে স্থানীয়ভাবে। তাদের জন্য আমাদের শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছে না। তাদের জন্য অনেক গাছ-পালা কাটতে হচ্ছে, পোড়াতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে তারা আমাদের অর্থনীতিতে কিছুটা প্রভাব ফেলছে। আর মৌসুমী বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য চাল আমদানী করতে হয়েছে। এটিও অর্থনীতিতে একটি প্রভাব ফেলেছে। প্রতিবছর বাজেট ঘোষণার পরেই সংশোধনী বাজেট করে কিছু কিছু বিষয় সমন্বয় করা হয়। এবারও হয়তো চাল আমদানী, রোহিঙ্গা বিষয়গুলোর যে ব্যয় হয়েছে, সেগুলোকে সমন্বয় করা হবে। তবে করা উচিত কিনা বা কোনটি করা প্রয়োজন, সেটি আমি সঠিকভাবে বলতে পারব না। এখন প্রয়োজন হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন। না হলে এভাবে চলতে থাকলে আমাদের অর্থনীতির উপর চাপটি দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
পরিচিতি : অর্থনীতিবিদ
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :