শাহেদা ওবায়েদ
কোচিং সেন্টার এভাবে বন্ধ করা যায় না। একটি বিকল্প ব্যবস্থা না করে এভাবে কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হলে, বাচ্চাদের নিয়ে অভিভাবকরা কোথায় যাবে? কোচিং সেন্টারে ছাত্রদের ভালোভাবে পড়ানো হয় বলেই, অভিভাবকেরা এত বেশি টাকা দিয়ে ছেলেমেয়েদেরকে সেখানে পড়ান। এটি ঠিক যে ছাত্র ছাত্রীদেরকে বাসায় পড়তে হবে। যদি স্কুলেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়ানো হয়, অথবা স্কুলের টিচাররাই যদি কোচিং সেন্টারে পড়ান তাহলে ভালো হয়। হঠাৎ করে কোনো কিছু যেমন বন্ধ করা যায় না, তেমনি খোলা যায় না। আজ যদি কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয় আজকেই স্কুল কোচিং সেন্টার খুলতে হবে। তা নাহলে বাচ্চারা কোথায় পড়বে? প্রশ্ন পত্র ফাঁস রোধে কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে হয় না। কোচিং সেন্টার পরীক্ষার সময় এমনিতেই বন্ধ থাকে। শিক্ষামন্ত্রী ফেসবুক বন্ধ করছেন। ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় না। হয়তো প্রচার হতে পারে। শিক্ষামন্ত্রী কি ইমো বন্ধ করবেন? টেলিফোন, ভাইবার, ইন্টারনেট কি কি বন্ধ করবেন?
শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা গিনিপিগ। যাদের বাবা মা চাকরি করে, তাদের বিকল্প একটা ব্যবস্থা না করে দিলে কোচিং বন্ধ করা যাবে না। বিদেশেও তো ফেসবুক আছে, সেখানে তো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় না। যারা চুরি করে তারা কোনো না কোনো ব্যবস্থা করে নেবেই। তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ব্যর্থ হয়েছেন। এই জন্য ফেসবুক, কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেখবেন প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করতে পারেন কিনা।
পরিচিতি : শিক্ষাবিদ
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ, সম্পাদনা : গাজী খায়রুল আলম
আপনার মতামত লিখুন :