ফারমিনা তাসলিম: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতিকে বুড়ো আঙ্গুল রীতিমত দেখাচ্ছেন মার্কিন অভিবাসন আইনজীবি নোরা সান্ডিগো। বিতাড়নের মুখে থাকা সাড়ে ১২’শ শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। তাদের মা হয়েছেন নোরা। আর কঠোর মার্কিন নীতি চাপিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে এসব শিশু। নোরাকে দিয়েছে ‘মামা ওরিয়া’ বা মা যোদ্ধার খেতাব।
অবৈধ অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত ভারতীয় দম্পতির এক সন্তান রিতিভ কুমার তার নতুন মা হিসেবে নোরাকে পেয়েছেন যিনি একজন মার্কিন নারী।
রিতিভ কুমার জানান, নোরা যা করেছেন তা বিস্ময়কর। কারণ আমি কখনো ভাবতে পারিনি, কেউ কাউকে এতটা সাহায্য করতে পারে।
ট্রাম্পের অভিবাসন খড়গ থেকে বাঁচাতে রিতিভের মতো অন্তত সাড়ে ১২’শরও বেশি অভিবাসী শিশুকে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন নোরা।
মাতৃত্বের পরম মমতায় আগলে রাখছেন তিনি। তাই প্রতি বুধবারে তার বাড়ি সরগরম হয়ে ওঠে এ সন্তানদেও কোলাহলে।
অবৈধ অভিবাসনের প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর নীতির ফলে বিতাড়নের মুখে এসব শিশুর বাবা-মা। আর তাই স্বেচ্চায় এসব সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে তাদের পাওয়ার এ্যাটর্নিও দিয়েছেন নোরা।
যাদের স্কুলে ভর্তি করা থেকে শুরু করে বিদেশ ভ্রমণ, সব ক্ষেত্রে অভিভাবকের কোটা পূরণ করবেন বৈধ মার্কিন নাগরিক নোরা।
যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মেক্সিকোর নাগরিক লুসিয়া বলেন, আমার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমার কি হবে জানি না? কিন্তু আমার সন্তানদের জন্য নোরা আছে।
অসহায় শিশুদেরকে সহায়তার বিষয়টিকে ঐশ্বরিক মনে করেন নোরা সান্ডিগো।
অভিবাসন আইনজীবি নোরা সান্ডিগো বলেন, শিশুদের সাহায্য করতে পারা যিশুর মতো আধ্যাত্মিক বিষয় আমার কাছে। আমি তাদের ভালোবাসি, তাদের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকে এ পথটি বেছে নিয়েছি আমি।
১০ বছর ধরে অভিবাসী শিশুদের এমন সেবা দিচ্ছেন নোরা। তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর নোরাকে অভিভাবক করার মত ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪০ ভাগ। আর এমন কাজের জন্য নোরা পরিচিতি পেয়েছেন মামা ওরিয়া বা মা যোদ্ধা হিসেবে।
সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর
আপনার মতামত লিখুন :