ফারমিনা তাসলিম: কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গা শিশুদের বার্মিজ, ইংরেজি এবং গণিত এ তিনটি বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।
দেশি-বিদেশি এনজিও দ্বারা গড়ে তোলা হয়েছে এই শিক্ষাকেন্দ্রগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছে, পাঠদান শিশুদের জন্য আরো কার্যকর করতে নিজস্ব পাঠ্যপুস্তক তৈরি প্রয়োজন।
মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম আট বছরের শিশুটির সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বার্মিজ ভাষায় পড়ছেন আরো ২৯ শিশু। এরা সবাই মিয়ানমারের নাগরিক। সহিংসতার কারনে বাংলাদেশে এসব শিশুর পরিবার পালিয়ে এসেছে। উখিয়ার পালংখালীতে পাশাপাশি দুইটি স্কুলে পড়ছে এসব শিশু।
এক রোহিঙ্গা শিশু জানান, আমরা এখানে এসে ইংলিশ শিখছি, গণিত শিখছি, বার্মিজ শিখছি। এখানে এসে আমার ভালো লাগছে। আমি এখানে পড়তে আসছি। এখানে এসে বন্ধুদেরকে পাই। আপা আমাদের পড়া শিখায়। বার্মাতেও আমরা পড়ালেখা করতাম। এখানে এসেও পড়ালেখা শিখছি। এখন অনেক বন্ধু পেয়েছি। এখানে কবিতা পড়েছি। ইংরেজী পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।
তিন শিফটে পাঠদান করা হচ্ছে বার্মিজ, ইংরেজী এবং গণিত।
এক রোহিঙ্গা শিক্ষক জানান, আমি বার্মাতেও পড়ালেখা করেছি। এখানে যারা রোহিঙ্গা শিশু রয়েছে, তাদের বার্মিজ পড়ায়। এখানে ইংলিশ এবং বার্মিজ ভাষায় পড়ানো হয়।
এক বাংলাদেশি শিক্ষক, বিভিন্ন দেশি বিদেশি এনজিও রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সরকারিভাবে তাদের জন্য নির্দিষ্ট কোন শিক্ষা কার্যক্রম নেই বলে জানান জেলা প্রশাসক।
কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফে বিভিন্ন বেসরকারি এনজিও পরিচালিত শতাধিক শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। এসব শিক্ষা কেন্দ্রে পাঠদান করা হয় অন্তত ২৮ হাজার শিশুকে। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত মক্তব এবং শতাধিক মক্তবেও অন্তত ৩০ হাজারেরও বেশি শিশুকে আরবি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :