শিরোনাম
◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী 

প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারী, ২০১৮, ০২:০৫ রাত
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০১৮, ০২:০৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যৌন নির্যাতনের শিকার মারমা দুই বোন নিবিড় পর্যবেক্ষণে

রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটির বিলাইছড়ির ফারুয়া ইউনিয়নের ওড়াছড়ি গ্রামে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার মারমা পরিবারের দুই বোনকে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ইতোমধ্যে ডা. হেনা বড়ুয়ার নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) আরও চেকআপের পর রিপোর্ট পাওয়ার সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও তার স্ত্রী রানী ইয়েন ইয়েন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্ছিতা চাকমা হাসপাতালে যান। তারা নির্যাতিত দুই বোনকে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে তাদের জিম্মায় দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইনি অভিভাবক ছাড়া দুই বোনকে কারও জিম্মায় দিতে অস্বীকার করে।

ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, ‘মেয়ে দুটি মারমা ভাষায় বলছিল, তারা হাসপাতালে থাকতে চায় না। তাদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আমরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভালো কোথাও নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আর তারাও আমদের সঙ্গে যেতে চাচ্ছে। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ওদের মানসিক অবস্থা খুব খারাপ।’

এছাড়া, শুক্রবার দুই মারমা কিশোরীর শারীরিক অবস্থা জানতে হাসপাতালে আসেন রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান ও ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী।

রাঙামাটির ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী বলেন, ‘ছয় সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের আরও কিছু কাজ বাকি আছে।

মেডিক্যাল টিমের প্রধান ডা. হেনা বড়ুয়া শনিবার ওই মেয়ে দুটিকে আবারও চেকআপ করবেন। তারপর তাদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এখনও তারা চিকিৎসাধীন এবং তাদেরকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, ‘মারমা কিশোরীদের নেওয়ার জন্য কোনও আইনি অভিভাবক আসেননি। চিকিৎসা শেষে যদি ডাক্তার ছেড়ে দেন, তখন নিয়ে যাবেন। এতে আমাদের কিছু বলার নাই। আর আমরা সবাই ওদের দেখতে এসেছিলাম।’

উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারি গভীর রাতে রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ওড়াছড়ি গ্রামে অভিযান চালান সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। এরপর একটি মারমা পরিবারের বড় বোনকে (১৮) ধর্ষণ ও ছোট বোনকে (১৩) যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নির্যাতনের শিকার দু’বোনকে ২৩ জানুয়ারি রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়