আশরাফুল নয়ন, নওগাঁ : ইভটিজিং প্রতিরোধে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং নওগাঁ শহরের বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসচেতনা মূলক প্রচারণা চালিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রচারণা চালানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই শহীদুল ইসলাম, এসআই নজরুল ইসলাম, এএসআই মিজানুর রহমান, এএসআই আবু বাসির, এএসআই সোহেল সহ নওগাঁ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
ইভটিজিং একটি সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট থেকে শুরু করে সব বয়সী নারীদের রাস্তা ঘাটে চলার পথে বিভিন্ন ভাষায় কটুকথা (টোন) বলে থাকে সব বয়সী পুরুষরা। বিভিন্ন ভাবে ছাত্রীদের কটু কথা ও টোন করে থাকে। বিদ্যালয়ে আসার পথেও বিরক্ত করে থাকে। আবার বালিকা বিদ্যালয়ে ছুটির সময় রাস্তায় ওইসব ছেলেরা নিজের ইচ্ছায় মেয়েদের সাথে ধাক্কা লাগে। স্কুল ও কলেজে মেয়েদের আসা যাওয়াতে কেউ অযাচিত ভাবে কটু কথা না বলে, বিরক্ত না করার জন্যই জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ইভটিজিং প্রতিরোধে জনসচেতনা মূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন।
নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মারজিয়া জানান, ইভটিজিং বিষয়ে তার যথেষ্ট ধারণা আছে। বাবা-মা আমাকে নিয়মিত স্কুলে নিয়ে আসে এবং নিয়ে যায়। আমার অনেক বান্ধবীরা ইভটিজিংয়ে স্বীকার হয়েছে।
অভিভাবক মুনি বেগম বলেন, তার মেয়ে মিম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনীতে পড়ে। সকালে সঙ্গে করে স্কুলে নিয়ে আসেন এবং স্কুল ছুটির সময় আবার এসে নিয়ে যান। স্কুল ছুটির সময় উড়তি বয়সী অনেক ছেলেরা তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি করে গায়ে পড়ার উপক্রম হয়। বর্তমানে ইভটিজিং একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িছে। মেয়েটাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিয়মিত বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে এবং এর আশপাশে অভিযান পরিচালনা করব। বিশেষ করে ছাত্র এবং অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। কারো বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: উমর ফারুক রকি
আপনার মতামত লিখুন :