জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া: এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধে সরকারকে কঠোর নজরদারির তাগিদ দিয়েছে শিক্ষাবিদরা। প্রশ্ন ফাঁস রোধে ব্যর্থ হয়ে ফেসবুক বন্ধ রাখার চিন্তা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন অভিযোগ করে উদ্বিগ্ন অবিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা। তাই সন্দেহভাজনদের নজরদারিতে রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা। প্রশ্নফাঁসের ব্যাধি দূর করতে শিক্ষা অধিকার আইন করার দাবি সবার।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে। তাই প্রশ্নফাঁস নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আছে নানা উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা। এইজন্য পরীক্ষা শুরু দিন সকাল ৭টা থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফেসবুক বন্ধ রাখাতে চায় মন্ত্রণালয়। আর এই সংক্রান্ত অনুরোধ পাঠানো হয়েছে বিটিআরসিতে।
যদিও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেছেন, এই সমস্ত কোনো অনুরোধ শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে তারা পায়নি।
অবশ্য প্রশ্নফাঁস রোধে ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে পরীক্ষার্থী ও অবিভাবকদের মাঝে। ফেসবুকেও চলছে সমালোচনা। প্রশ্নফাঁসের জন্য দায়ি করা হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতাকে।
এক্ষেত্রে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মাথা ব্যাথ্যা হলে মাথা কেটে ফেলার সুযোগ নেই। তারা জোড় দিচ্ছে পাবলিক পরীক্ষাগুলোর সংখ্যা কমিয়ে আনাসহ কঠোর আইনি ব্যবস্থার উপর।
গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, গোয়েন্দা সংস্থারা তৎপর প্রশ্নফাঁসের ব্যাপারে কিন্তু তাদের শাস্তির ব্যাপারে আমরা কিছু দেখতে পাচ্ছি না।
সূত্র : যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :