ইমতিয়াজ মেহেদী হাসান : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক মাসের ছুটি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সার নিজ গ্রামে ফিরেছিল রক্তনালীর টিউমারে আক্রান্ত মুক্তামনি। তবে সময় পার হলেও সহসা চিকিৎসা নিতে ফিরছে না সে।
মুক্তামনি জানায়, ঢাকায় তো অনেক দিন কাটালাম। সেখানে থেকে তো কোনো লাভ হচ্ছে না। ওখানে আর কী করতে যাবো। আর রাস্তার যা বাজে অবস্থা। বাড়ি আসতে অনেক কষ্ট হয়েছিল। আমি আর ঢাকা যেতে চাচ্ছি না। আর আব্বুর সাথে ডাক্তার আঙ্কেলদের কথা হয়েছে। তারাও একটু গরম পড়লে ঢাকায় যেতে বলেছেন।
মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে গত ডিসেম্বরের ২২ তারিখ আমরা মুক্তাকে বাড়ি নিয়ে এসেছি। তারা আমাদের এক মাসের ছুটি দিয়েছিলেন। তারপরও প্রায়ই আমরা বার্ন ইউনিটের ডা. সামন্ত লাল সেন স্যারের সাথে ফোনে কথা বলি। বিভিন্ন পরামর্শ নিই। তিনি বলেছেন, শীতে হাসপাতালে ভিড় বেশি থাকে। তাই একটু গরম পড়লেই যেন আমরা যাই। তাছাড়া মুক্তাও ঢাকায় যেতে চাচ্ছে না।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টাটি করেছে। কিন্তু কোনো উন্নতি তো দেখছি না। ঢামেকে যেয়েও লাভ হবে কি না তাও বুঝতে পারছি না। তারপরও দেখি কী করা যায়। বর্তমানে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী মুক্তাকে ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে।
মুক্তামনির ডান হাতে দেড় বছর বয়সে একটি ছোট গোটা দেখা দেয়। পরে তা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে হাতে বেঢপ আকৃতির ফোলাসহ গত ১২ জুলাই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গণমাধ্যমে মুক্তামনির রোগ নিয়ে একাধিক খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়। স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এরপর তার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই গ্রহণ করেন মুক্তামনির চিকিৎসার দায়িত্বভার।
আপনার মতামত লিখুন :