নিজস্ব প্রতিনিধি: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা দায়রা জজ কোট ও হাইকোর্ট থেকে পৃথক দুটি মামলায় তিনি জামিন পান। পরে সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমান এর আদালতে তৈমূর আলম খন্দকারের একটি মামলার জামিন শুনানি হলে আদালত জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে, হাইকোর্টের বিচারক মো. রেজাউল হক ও খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চে অপর মামলার শুনানী শেষে জামিন প্রদান করেন।
তৈমূরের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার ও এড. সাখাওয়াত হোসেন খান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ার বাইরে থেকে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তিনি আইনজীবী সমিতি নির্বাচনকে সামনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের পক্ষে প্রচারণা করছিলেন। গ্রেপ্তারের সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। ওই সময় পুলিশের লাঠি ও অস্ত্রের আঘাতে আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য আঞ্জুম আহমেদ রিফাত, আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী রেজাউল করিম খান রেজা, আজিজুর রহমা মোল্লা, শরীফুল ইসলাম শিপলুসহ কমপক্ষে ১০ আইনজীবী আহত হন।
গ্রেপ্তারের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ অঞ্চল) শরফুদ্দীন গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের নামে দুটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, পুলিশ এড. তৈমূর আলমের কলার চেপে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নেয়। নেতাকর্মীরা বাঁধা দিতে গেলে তাদেরও দূরে সরিয়ে দেয় পুলিশ। তাদের মতে, একজন আইনজীবীকে ওসি টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়ার এ ঘটনা ন্যাক্কারজনক। তাছাড়া তিনি তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী।
আপনার মতামত লিখুন :