শিরোনাম
◈ ২০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করছে বিএনপি, ৫ দফায় হয়েছে আসনভিত্তিক জরিপ ◈ ট্রেনে অস্ত্র পাওয়া নিয়ে সেনাবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ◈ ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছেই: একদিনে আরও ৪ মৃত্যু, মোট প্রাণহানি ২৬৩ ◈ জামায়াতসহ ৮ দলের বিক্ষোভ সোমবার ◈ ৪ দিন পরই বাতিল হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম, জরুরি বার্তা বিটিআরসির ◈ আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু ◈ মেট্রোরেলে দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির ◈ একজনের নামে সর্বোচ্চ কতটি সিম নিবন্ধন থাকবে, জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশের সরকার মদের ব্যবসা করে, সেই লাভে চাকরিজীবীদের বেতন হয়: ধর্ম উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ মাইলস্টোনে বিমান না পড়ে সচিবালয়ে পড়া উচিত ছিল: হসনাত আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারী, ২০১৮, ০১:১১ রাত
আপডেট : ২৬ জানুয়ারী, ২০১৮, ০১:১১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অর্থ পাচার, এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবি ব্যাংকের ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও গ্রাহক সাইফুল হককে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বৃহস্পতিবার বিকালে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান ঢাকার রমনা মৎস্যভবন এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন।

এর আগে মুদ্রা পাচার আইনে ওই তিনজনসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন গুলশান আনোয়ার।

দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান বলেন, ওই মামলার তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজই আদালতে হাজির করা হবে।

সিঙ্গাপুর ও দুবাইভিত্তিক কোম্পানি পিনাকল গ্লোবাল ফান্ডের (পিজিএফ) সঙ্গে মিলে বিনিয়োগের নামে এবি ব্যাংকের ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে এর আগে সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হক, ফাইনাশিয়াল ইন্সটিটিউশন অ্যান্ড ট্রেজারি শাখার প্রধান আবু হেনা এবং ব্যবসায়ী সাইফুল হকসহ মোট ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এ বি ব্যাংকের দুই কোটি ডলার ও পিনাকলের আট কোটি ডলার মিলিয়ে ১০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠন করে তা দুবাইয়ে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত হয় ২০১৩ সালে।

এরপর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি না নিয়েই এবি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট থেকে দুই কোটি ডলার পাঠিয়ে দেওয়া হয় আবুধাবির একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

পরে সেই টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ওয়াহিদুল হক তখন ব্যাংকের চেয়ারম্যান।

কথিত ওই বিনিয়োগ এবং অর্থ আত্মসাতের পেছনে ব্যাংকের গ্রাহক আটলান্টিক এন্টারপ্রাইজের সাইফুল এবং তার বন্ধু দুবাইয়ের নাগরিক খুররম আবদুল্লাহর ভূমিকা ছিল বলে দুদক কর্মকর্তাদের ধারণা।

সাইফুল হক স্কাই এভিয়েশন সার্ভিসেস লিমিটেড নামে আরেকটি কোম্পানির পরিচালক। তার ওই কোম্পানি বাংলাদেশে ফ্লাই দুবাইয়ের এজেন্ট।

এক সময় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে কাজ করা সাইফুলের কোনো অংশীদারিত্ব নেই এবি ব্যাংকে। তবে তিনি বিয়ে করেছিলেন বিএনপি নেতা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের দ্বিতীয় মেয়েকে। আর মোরশেদ খান ওই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান এবং ব্যাংকটির উপর দীর্ঘদিন তার পরিবারের নিয়ন্ত্রণ ছিল।

ফলে ব্যাংকের অনেক কাজেই সাইফুলের প্রভাব ছিল বলে একাধিক সূত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছে।

এর আগে শুল্কমুক্ত কোটায় সাইফুলের স্কাই এভিয়েশন সার্ভিসেস লিমিটেডের আনা চারটি বিলাসবহুল গাড়ি শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে জব্দ করেছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়