ফারমিনা তাসলিম: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত না হতে পারায় পিঁছিয়ে আছে । বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিনটি পর্যায়ে প্রক্রিয়া এগিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, মাত্র প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার ফলে প্রত্যাবাসন থেমে আছে।
অপরদিকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে মিয়ানমারের তং পিউ লেতে অস্থায়ী আশ্রয় শিবির। বুধবার সীমান্তের ওই ক্যাম্প পরিদর্শন করেন আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা ও সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশ থেকে যেসব রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে তাদেরকে প্রথমবার রাখাইনের বাইরে এই অস্থায়ী শিবিরে গ্রহণ করা হবে। পরে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করবে সু চি প্রশাসন। মিয়ানমারের হিসেবে তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের অপ্রস্তুত থাকার বিষয়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য আবুল কালাম জানিয়েছেন, ফেরত পাঠানো রোহিঙ্গাদের তালিকা এখনও প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া যাচাই বাছাই এবং তাদের জন্য নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া, টেকনাফের নয়াপাড়া, দমদমিয়ায় যে পাঁচটি ট্রানজিট ক্যাম্প করার কথা ছিল, তার কাজও এখনও শেষ হয়নি।
এদিকে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের পূর্বে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব, ক্ষতিপূরণসহ পাঁচটি দাবিতে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করছে। তাদের মতে, শুধু প্রত্যাবাসন করলেই হবে না। তাদের দাবি পূরণ করে তবেই প্রত্যাবাসন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের আগষ্ট মাস থেকে বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রিত রয়েছে। এরপর এ বছরের ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত না হতে পারায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে না।
সূত্র : যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :