জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না: এবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছে আরেক আইনজীবী। বারবার তাগাদা দিয়েও ওই আইনজীবী উদ্ধার করতে পারছেন না তার দুই লক্ষাধিক টাকা। সুপ্রিমকোর্ট বারে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও পাননি কোনো প্রতীকার। এ অবস্থায় বার কাউন্সিলের যাওয়ার চিন্তা করছেন ওই আইনজীবী। পরিকল্পনা নিয়েছেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতে করা আবেদনে এডভোকেট বিলকিস ফাতেমা উল্লেখ করেন, আমি সুপ্রিমকোর্ট বারের একজন সদস্য। ২০০৯ সাল থেকে ডেপুটি এটর্নিজেনারেল হিসেবে কর্মরত আছেন একই বারের সদস্য এডভোকেট আমাতুল করিম। ২০১১ সালে আমি অ্যাসিস্ট্যান্ট এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাই। ৬ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে আমি প্রাইভেট প্রাক্টিস করছি। সহকারি এটর্নি জেনারেল থাকাকালে আমাতুল করিম ছিলেন আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। কর্মস্থলসূত্রেই তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্টতা হয়। গড়ে ওঠে পারিবারিক সম্পর্কও। তার স্বামী ড. এম.এম. বোরহানউদ্দিন এমরানের সঙ্গেও পরিচয় হয়। তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। পারিবারিক সুসম্পর্কের সূত্রে হঠাৎ তিনি জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে আমার কাছ থেকে নগদ ২ লাখ টাকা ধার নেন। আমার ব্যক্তিগত আর্থিক সংকট সত্ত্বেও আমিও সরল বিশ্বাসে তাকে টাকা ধার দিই। কিছুদিন পর টাকাটা ফেরত চাইতেই তিনি আমাকে ডাচবাংলা ব্যাংকের নিজ একাউন্টের ২ লাখ টাকার একটি চেক (নং-১৭১১৫১৬৫০৯৫/ তারিখ-২০/০৭/২০১৭) দেন। পরে আমি চেকটি জমা দিতেই বাউন্স হয়। এখন অবধি তিনি আমার টাকাটা পরিশোধ করেননি।
এ বিষয়ে আমাতুল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। ওই নামে কেউ আমার কাছে টাকা পায়না। আমি কাউকে কোন চেক দেইনি। তাকে বিষয়টি নিয়ে তথ্য প্রমানসহ জোড়ানো ভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বিভিন্নভাবে অশ্রভ্য ভাষায় কথা বলেন। এবং যা পারেন করেন বলে হুমকি প্রদান করেন।
আপনার মতামত লিখুন :