আহমেদ ইসমাম : রোহিঙ্গারা যে আটটি শর্ত দিয়েছে সেগুলো যৌক্তিক শর্ত, তাদের শর্তগুলোর পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে তাদের ফেরৎ পাঠিয়ে কোনো লাভ হবে না। কারণ, তারা সমস্যায় পড়লে আবার চলে আসবে। তার মানে সমস্যা রেখে তাদের ফেরৎ পাঠিয়ে কাক্সিক্ষত ফল আসবে না। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘের কাছে তাদের সমস্যাটা তুলে ধরেছে। যদি জাতিসংঘের সক্রিয় একটা ভূমিকা দেখা যায়, তবে সমস্যাটা সমাধান করা সহজ হবে। আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব মোফাজ্জল করিম এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটা দিন দিন অচল অবস্থার দিকে যাচ্ছে। যখন যেটা সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে, সেটা থেকেই মিয়ানমার বাস্তবায়নে পিছিয়ে যাচ্ছে, এটা এক ধরনের তালবাহানা। তাদের এই নীতিটাই এখন লক্ষণীয়। বাংলাদেশকে আরও তৎপর হতে হবে, বিশেষ করে বিদেশি তৎপরতা বাড়াতে হবে। এখানে চীন বা ভারত একটা ভালো ভূমিকা রাখতে পারে, তাদের আরও সক্রিয় করে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সাথে ভারত, চীন, রাশিয়ার সাথে অর্থনৈতিক একটা সম্পর্ক আছে, তার মানে এই না বাংলাদেশের কোনো দাম নেই। বাংলাদেশেরও তাদের দরকার আছে, সেই বিষয়গুলো তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। ভারত এবং চীন তারা দুই দেশের সাথে একটা প্রীতি সম্পর্ক বজায় রেখে সমস্যাটা সমাধান করতে পারে। এই কাজটি করার জন্য বাংলাদেশকে আরও কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক ব্যর্থতা নেই, সরকার বার বার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু প্রত্যাশিত ফল এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সুফল পাওয়ার জন্য তাদের আরও বেশি তৎপর হতে হবে। তবে মিয়ানমার যে অনমনীয় অবস্থায় ছিল, তা থেকে কিছুটা সরে আসছে, তারা এখন আসতে আসতে তাদের ফেরৎ নিতে চাচ্ছে। এটা একটা ভালো দিক।
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
আপনার মতামত লিখুন :