শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৩:০৭ রাত
আপডেট : ২৫ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৩:০৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আল্লাহর পথে ডাকার মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব

মোস্তফা কামাল গাজী: মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির হেদায়েতের জন্যে অসংখ্য নবী-রাসুল দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। নবী-রাসুলের এ ধারা হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর আগমনের মাধ্যমে শেষ হয়। তাঁর পর মানুষকে ঈমান ও ইসলামের দিকে আহ্বান করার মহান দায়িত্ব আলেমদের ওপর বলে হাদিসে উল্লেখ হয়েছে। পবিত্র কুরআনেও আমভাবে সকল মুসলমান এবং খাসভাবে আলেমসমাজকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার নির্দেশ এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল যেন থাকে যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে এবং সৎকাজের নির্দেশ দেবে ও অসৎকাজে নিষেধ করবে; আর তারাই সফলকাম। (সুরা আলে-ইমরান: ১০৪)

ইসলামের দিকে দাওয়াত দেয়া একটি উত্তম আমল। কেননা এই দাওয়াত দানের মাধ্যমে মানুষ সরল পথের দিশা পায়। এর মাধ্যমে মানুষকে তার দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তির পথ দেখানো হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ঐ ব্যক্তির চেয়ে আর কার কথা উত্তম হতে পারে যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নেক আমল করে। আর বলে অবশ্যই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত। (সুরা হা-মিম সিজদা: ৩৩)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, এ কুরআন আমার নিকট ওহি করা হয়েছে যেন তোমাদেরকে এবং যার নিকট তা পৌঁছবে তাদেরকে এর দ্বারা সতর্ক করতে পারি। (সুরা আনআম: ১৯)

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, বলুন, এটাই আমার পথ, আমি জেনে-বুঝে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকি, আমি এবং যারা আমার অনুসরণ করেছে তারা। আর আল্লাহ কতই না পবিত্র এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। (সুরা ইউসুফ: ১০৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমার কাছ থেকে একটি আয়াত হলেও পৌঁছিয়ে দাও। (বুখারি ৩৪৬১)

আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়া একটি মহান মিশন ও গুরুদায়িত্ব। কারণ দাওয়াত মানে মানুষকে এক আল্লাহর ইবাদতের দিকে ডাকা, তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসা, অনিষ্টের জায়গায় কল্যাণ পৌঁছানো, বাতিলের বদলে হককে স্থান দেয়া। তাই যিনি দাওয়াত দিবেন তার ইলম, ধৈর্য, সহনশীলতা, কোমলতা, দয়া, জান-মালের ত্যাগ, নানা পরিবেশ-পরিস্থিতি ও মানুষের আচার-অভ্যাস সম্পর্কে অবগতি ইত্যাদি গুণ থাকা প্রয়োজন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, আপনি মানুষকে দাওয়াত দিন আপনার রবের পথে হিকমত ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে এবং তাদের সঙ্গে কথা বলুন উত্তম পদ্ধতিতে। (সুরা নাহল: ১২৫)
এই নবিওয়ালা দাওয়াতি কাজে সকলকে এগিয়ে আসা উচিৎ। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন। আমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়