নুরুল আমিন হাসান : রাজধানীর ভাষানটেকে রিকশার যৌথ মালিকানা ও দৈনিক ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের ঘটনায় রিকশা চালক তাজুল ইসলামকে (৪০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ছয় জনক গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আল আমিন (৩০), আবুল হাসেম (২৭), জিয়া (২৬), মতিউর রহমান ওরফে মতিন (৬০), ইদ্রিস আলী শেখ (৬৮) ও সেলু ভূইয়া (৫০) ।
রিকশা চালককে হত্যার পর মঙ্গলবার রাতে থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ভাষানটেক ও এর আশপাশ এলাকা অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিকশার ভাড়া নিয়ে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ১৫ নম্বর লালসরাই এলাকায় জাহাঙ্গীরের বস্তিতে তাজুল ও আল আমিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আল আমিন , ইদ্রিসসহ আরও কয়েকজন তাজুলকে পিটালে তাজুল গুরুত্বর আহত হন।
এ ঘটনায় তাজুলকে প্রথমে স্থানীয় এবং পরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই সংক্রান্তে ভাসানটেক থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে ।
নিহত তাজুল রাজধানীর ভাষানটেক থানার ২৫/১ নম্বর বাড়ির আবুল হাসেমের বাড়িতে বসবাস করতেন। তিনি দুই ছেলে সন্তানের জনক। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার তারাইল থানার দিঘদাইল গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে।
ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী সাব্বির আহমেদ বলেন, 'যৌথ মালিকানায় একটি রিকশা চালাতেন। ওই রিকশার অংশীদারিত্ব ছিল আলামিনের। রিকশার মালিকানা ও দৈনিক ভাড়া নিয়ে আলামিনের সঙ্গে তাজুলের বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে আলমিন, ইদ্রিসসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাজুলকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করে। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মার্ক হাসপাতালে পরে হৃদরোগ ইনিস্টিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়'।
মামলার পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আল আমিনসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ভাষানটেক থানা পুলিশ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ভাষানটেক থানার লালসরাইয়ের ১৫ নম্বর জাহাঙ্গীরের বস্তির পেছন থেকে তাজুলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেন ভাষানটেক থানার উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম।
আপনার মতামত লিখুন :