অনল রায় চৌধুরী, আগরতলা : ভারতের ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বুধবার থেকেই শুরু হলো মনোনয়নপত্র বিলি ও জমা করার কাজ। এইদিকে গত ১৮ জানুয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এ কে জ্যোতি ত্রিপুরা সহ মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ফলে সেদিন থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর শুরু হয়েছিল। তবে আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হলো। কমিশন প্রদত্ত সূচি অনুযায়ী বুধবার সকাল ১০টা সময় বিধানসভা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।
এইদিকে সহকারী নির্বাচন আধিকারিক তাপস রায় জানিয়েছেন, আজ থেকেই শুরু হয়ে গেছে মনোনয়নপত্র বিলি ও জমা নেওয়ার কাজ। তা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করে দেখা হবে। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। ভোট হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি এবং গণনা হবে ৩ মার্চ।
তিনি আরো জানিয়েছেন, নির্বাচনী কাজে মোট ১৯ জন এক্স্বপেন্ডিচার অবজার রাজ্যে এসেছেন।
তিনি জানান, ভোটের কাজে আরও ৫০ কোম্পানি সিআইপিএফ জওয়ান রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। সব মিলিয়ে ৭৫ কোম্পানি সিআরপিএফ জওয়ান রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে তারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গেছেন।
শ্রী রায় জানান, গত বিধানসভা নির্বাচনে একটা আসনের জন্য একটা করে স্প্যাটিক এন্ড সার্ভিলেন্স টিম ছিল। এবার প্রত্যেকটা বিধানসভা কেন্দ্রে তিনটি করে টিম থাকবে। প্রত্যেকটা টিমে থাকবেন একজন পুলিশ অফিসার। একজন আই টি ইঞ্জিনিয়ার, একজন করে এক্সইজ& এন্ড ডিউটিজ এর অফিসার এবং একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট। এই ফ্লাইং স্কোয়াড রাস্তায় লড়ি থামিয়ে তল্লাশি করবে। গাঁজা সহ বিভিন্ন নেশাসামগ্রী, নগদ অর্থ, অস্র কিংবা গোলাবারুদ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে এক কমিটি। প্রয়োজনে ঘটনাস্থলেই যাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা যায় তারজন্য ম্যাজিস্ট্রেট সব সময়ের জন্য টিমে থাকবেন।
তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন দপ্তরের অনুমতি ছাড়া 'কোনো লরিতে প্রচার করা যাবে না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট লরিতে বৈধ অনুমতি নিতে হবে এবং যদি সেই গাড়িতে কোনো ভিডিও প্রদর্শন 'করা হয় তবে এই ভিডিও'র একটা কপি নির্বাচন দপ্তরে জমা করতে হবে। সিডি খতিয়ে দেখে যদি কমিটি অনুমতি না দেন তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দল মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে আবেদন করতে পারবেন। সেই কমিটিও অনুমতি না দিলে তা প্রদর্শন করা যাবে না।
আপনার মতামত লিখুন :