মাছুম বিল্লাহ : শ্রীলংকা ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করেছে দুই দেশ। যদিও স্থানীয় কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন যে, শ্রীলংকা সরকার স্বচ্ছতা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এফটিএ সই করেছে।
প্রেসিডেন্সিয়াল সেক্রেটারিয়েটে সফররত সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং এবং প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এফটিএ সই হয়।
প্রেসিডেন্টের অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও বাড়াতে সাহায্য করবে। কারণ এই চুক্তির কারণে দুই দেশেরই বেশ কিছু পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে।”
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার আমন্ত্রণে সোমবার তিন দিনের সফরে শ্রীলংকা আসেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী লি দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে আয়োজিত ব্যবসায়ী ফোরামের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
এফটিএ চুক্তির সুবিধা পাবে যোগাযোগ প্রযুক্তি, রিয়েল স্টেট, আতিথেয়তা ও পর্যটন, জ্বালানি ও সরবরাহসহ বেশ কিছু খাত।
শ্রীলংকার উন্নয়ন কৌশল ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী মালিক সামারাবিক্রামা এবং সিঙ্গাপুরের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এস. ইশ্বারান দুই দেশের পক্ষে এফটিএতে স্বাক্ষর করেন। প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা, প্রধানমন্ত্রী লি এবং শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ চুক্তি নিয়ে ইউনাইটেড প্রফেশনালস মুভমেন্ট (ইউপিএম) সদস্য প্রকৌশলী নালাকা সি জয়াবীর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রীকে চিঠি দেয়ার পর এটা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, চুক্তি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার ঘাটতি রয়েছে।
ব্যবসায়ী অংশীদারদের নিয়ে আয়োজিত একটি বৈঠকে যে সব আলোচনা হয়, তা চূড়ান্ত করতে দুই মাস দেরি করার পর হঠাৎ ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর আবার সেটা তড়িঘড়ি শেষ করার কারণে এই বিতর্কের সূত্রপাত।
জয়াবীর অভিযোগ করেছেন, সিঙ্গাপুরের সাথে এফটিএ স্বাক্ষরের উদ্দেশ্যেই এই তড়িঘড়ি করা হয়েছে।- সাউথ এশিয়ান মনিটর।
আপনার মতামত লিখুন :