শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারী, ২০১৮, ০২:৪৬ রাত
আপডেট : ২৫ জানুয়ারী, ২০১৮, ০২:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার আলোচনায় ‘মিডিয়া ম্যাডনেস:ডোনাল্ড ট্রাম্প’

লিহান লিমা: মাইকেল ওলফ এর প্রকাশিত বই ‘ফায়ার এ- ফিউরি’র পর এবার আলোড়ন তুলেছে সাংবাদিক হাওয়ার্ড কুৎস এর নতুন বই ‘মিডিয়া ম্যাডনেস: ডোনাল্ড ট্রাম্প, দ্য প্রেস এন্ড দ্য ওয়ার ওভার দ্য ট্রুথ’। বইতে কুৎস হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ রণক্ষেত্র ও ট্রাম্প প্রশাসনের নানা দিক তুলে ধরেন।

যেমন, অভিষেকের জনসমাগম নিয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদনের জন্য ট্রাম্প সাবেক প্রেস সচিব শেন স্পাইসারকে গণমাধ্যমকে আক্রমণ করতে পাঠান। পরে নিজেই ভুল বুঝতে পারেন। কর্মীদের বলেন, আমার এই কাজটি করা ঠিক হয় নি।

কুৎস তার বইতে বলেন, ‘ট্রাম্প ওভাল অফিসে বসে প্রশাসনের খবর ফাঁস করা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার জন্য হুমকি-ধমকি দেন কিন্তু তিনি নিজেই সাংবাদিকদের তথ্যের অন্যতম উৎস। ট্রাম্প তার বন্ধু ও পরিচিতদের সঙ্গে ফোনে অনেক কথা বলেন যা সাংবাদিকরা খুব সহজেই বের করতে পারেন।’ এই বইতে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের কর্মীরা গোপনে ট্রাম্পের কার্যক্রমকে ‘ডিফেন্স ডিসঅর্ডার’ বলে অ্যাখায়িত করে থাকেন। কারণ ট্রাম্প সবসময় তার পরামর্শকরা যা বলেন ঠিক তার উল্টো কাজটিই করেন।

জুলাইতে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা সবেমাত্র মার্কিন সামরিক বাহিনীতে হিজড়াদের অংশগ্রহণ নিয়ে নীতিমালা পর্যালোচনা করছেন। এই সময় সাবেক চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রিবুস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টি সম্পর্কে চারটি বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে ওভাল অফিসে পুনরায় আলোচনা করতে সম্মত হন। কিন্তু এরপরই ট্রাম্প অপ্রত্যাশিতভাবে আলোচনা স্থগিত করে দেন এবং পুরোপ্রশাসনকে বোকা বনে পাঠিয়ে টুইটের মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করেন। প্রিবুস বলেন, ‘আম দেখি, ‘ট্রান্সজেন্ডাররা আর সামরিক বাহিনীতে কাজ করতে পারবে না’, হে ইশ্বর, সে একটি টুইটেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল!

বইতে কুৎস সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ওপর ট্রাম্পের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, মার্চের এক শনিবার সকালে হোয়াইট হাউসের সব কর্মীরা বিভ্রান্ত এবং দিশেহারাভাবে আবিষ্কার করেন, ট্রাম্প কোন প্রমাণ ছাড়াই টুইটে বারাক ওবামার ওপর তার ক্যাম্পেইনে আড়িপাতার অভিযোগ তুলে বসে আছেন। কুৎস বলেন, ওই মুহুর্তে হোয়াইট হাউসের কেউই বুঝতে পারছিল না, এখন ঠিক কি করা উচিত।

বইতে কুৎস হোয়াইট হাউসের সাবেক কৌশলগত পরামর্শক স্টিফেন ব্যাননের বরাত দিয়ে বলেন, ইভানকা এমন একজন কর্মকর্তা যিনি নিজেই জানেন না তিনি কি করছেন।’ বইতে দেখা যায়, ব্যানন একবার হোয়াইট হাউসের তথ্য ফাঁসের জন্য ইভানকাকে দায়ী করলে ট্রাম্প ব্যাননের পক্ষ নেন। ট্রাম্প ইভানকাকে বলেন, বেবি, আমার মনে হয় ব্যানন ঠিক বলছে। দ্য হিল, নিউজউইক, ডেইলি ডট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়