ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের প্রতিবাদ মিছিলে হামলার বিষয়ে এখানকার সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর টিপু বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোনো স্লোগান মেনে নেওয়া হবে না। প্রতিহত করা হবে। যারা এমন করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের প্রতিবাদ মিছিলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ । এতে আটজন আহত হন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি বাম সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে এই প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়েছিল।
প্রথম দফার হামলায় আহতদের মধ্যে আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফজলে রাব্বি, সৈয়দ আইরিন সুলতানা, সায়মা আকতার নিশু ও রিজু এবং ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুলের ভাষ্য, ‘আমরা বেলা ১১টার দিকে চাকসু থেকে মিছিল নিয়ে বের হই। যখন আমরা প্রক্টর অফিসের সামনে যাই তখন ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মী জিসান, জুয়েল, রিসাতসহ আরও অনেকেই আমাদের ওপর রড, রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন। আমাদের ব্যানার কেড়ে নেন। এতে কয়েকজন আহত হন।’
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা আবু তৈয়ব বলেন, ‘আহতদের গায়ে লাঠিসোঁটার আঘাত আছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
এই হামলার ঘটনার বিচার চাইতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা বেলা তিনটার দিকে প্রক্টর অফিসে যান। তাঁরা এ হামলার ঘটনার বিচার হবে—প্রক্টরের কাছ থেকে এমন আশ্বাস চান। তিনি প্রক্টর তাদের কোনো আশ্বাস দেননি। তখন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেন। তখন ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী আবার তাদের ওপর হামলা চালান। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ‘বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেশ ধরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ঝামেলা করা যাবে না।’
দ্বিতীয় দফার হামলায় আহত কনক বিহারী দাশের ভাষ্য, ‘প্রথমবারের হামলার প্রতিবাদে আমরা আরেকটি মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে যাই। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করে। আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অ্যাম্বুলেন্স অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি হাসান কামরুল বলেন, ‘প্রক্টর যদি বিচার না করে, বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :