আশিস গুপ্ত, নয়াদিল্লি: পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তৃতীয় মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের শীর্ষ নেতা ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। এই একই মামলাতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র।
বুধবার সকালে রায় ঘোষণা করেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারপতি এস এস প্রসাদ ।
চাইবাসা ট্রেজারি থেকে বে-আইনি ভাবে ৩৩.৬৭কোটি টাকা তোলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লালুপ্রসাদ ও জগন্নাথ মিশ্র। পশুখাদ্য মামলার অন্য দুটি মামলায় আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে আছেন লালুপ্রসাদ। তৃতীয় মামলাতেও তাঁকে দোষী ঘোষণা করলো আদালত।
লালুপ্রসাদের পাশাপাশি চাইবাসা ট্রেজারির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন জগন্নাথ মিশ্র। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলায় জগন্নাথ মিশ্রকে নিরপরাধ ঘোষণা করা হলেও, তৃতীয় মামলায় রেহাই পেলেন না তিনি।
চলতি মাসেই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দেওঘর ট্রেজারি তছরুপ মামলায় লালু ছাড়াও দোষী সাব্যস্ত হন আরও ১৫ জন।
১৯০০-৯৪ সালের ওই দুর্নীতিতে লালুকে সিবিআই আদালত সাড়ে তিন বছরের জেল আর পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে আরও ছ’মাসের জেল।
এর আগে ২০১৩ সালে বাঁকা-ভাগলপুর ট্রেজারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে যেতে হয় তাঁকে। আরজেডি সুপ্রিমো লালুর শারীরিক অবস্থার কথা আদালতে জানিয়ে সাজা যাতে কম হয়, সেই আবেদন করেছেন তাঁর আইনজীবীরা।
১৯৯২-৯৩ সালে অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। সেই সময় রাজ্যে একের পর এক ট্রেজারিতে পশুখাদ্য সংক্রান্ত দুর্নীতি হয়। কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে একের পর ট্রেজারি নিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। লালুপ্রসাদের কী সাজা হয়, সে দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। এই নিয়ে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তিনটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি।
এখনও লালুর বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দু’টি মামলা ঝুলছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তার রায় ঘোষণা হবে বলে জানা গিয়েছে। একটি দোরান্ডা এবং অন্যটি দুমকা ট্রেজারি মামলা। ওই দু’টি মামলার শুনানিই অন্তিম পর্যায়ে রয়েছে। দেওঘর ট্রেজারি মামলায় সাজাপ্রাপিত লালুর জামিন সংক্রান্ত আবেদনটি এখনও ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে ঝুলে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :