শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৪:০১ সকাল
আপডেট : ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৪:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজনীতির এ কোন ভাষা?

রবিউল আলম : মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি একজন অচিন দেশের অধিবাসী। কথাগুলো বলতে ইচ্ছে করে না, তারপরও বলতে হচ্ছে। কখন কোন কথা রাজনীতিতে বলতে হচ্ছে, শুনতে হচ্ছে যার কোন যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। খুঁজে পাচ্ছি না রাজনীতির নীতি ও আদর্শ। একজন সম্মানীয় ব্যক্তি, শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, সমাজে গ্রহণযোগ্যতা আছে, সামাজিকভাবে পরিচিতি আছে, বিবেক ও বুদ্ধি সবই আছে, শুধুমাত্র রাজনীতির কারনে সব হারিয়ে, অন্যের ধার করা কথা বলতে হচ্ছে কেন জানি না। নিজের বিবেক বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে অনেকেই রাজনীতি করেন, তবে জনাব ফখরুল ইসলাম আলমগীর উল্লেখযোগ্য। উল্লেখযোগ্য বলতে হচ্ছে এ কারণে, বিএনপির অনেক মহাসচিব ছিল, আলমগীর সাহেবের মতো জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি, তাদের নাম উল্লেখ না-ই করলাম।

আলমগীর ও রিজভী সাহেবদের কথা একটু বেশিই আলোচনায় আসছে, কারণ সবার কথার অর্থ কিছু না কিছু সর্বসাধারণ বুঝতে পারত। কিন্তু এই দুইজন মহারথীর কথা বুঝা দায়। একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ ও মানুষের জানমালের প্রভূত ক্ষতি করেছে। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে দাবি আসল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। সে আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় গলার স্বর নরম করে বলতে হচ্ছে সহায়ক সরকার দিতে হবে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে কারচুপি না হলে বিএনপি আরও অনেক ভোটে নির্বাচিত হতো। আওয়ামী লীগ কারচুপি করেও নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেনি। রংপুরের নির্বাচনে, নির্বাচন কমিশনার নিরপেক্ষ প্রমাণ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের ভোট কমেছে, বিএনপির ভোট বেড়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, জনাব ফখরুল ইসলাম আলমগীর কার উপর নির্ভর করে বলছেন বিএনপির ভোট বেড়েছে- জনগণ, নির্বাচন কমিশনার না দলীয় নেতাকর্মীদের উপর নির্ভর করে।

আবার বলছেন, সাংগঠনিক ব্যর্থতার কারণে আমরা বিজয়ী হতে পারিনি। সরকার ও নির্বাচন কমিশনার কোথায় বাধা সৃষ্টি করেছে তা কিন্তু আলমগীর ও রিজভী বলেননি। তবুও সরকার ব্যর্থ বলতে ভুলেননি। ওবায়দুল কাদেরের কথা সূত্র ধরে বলতে ইচ্ছে করে, জিতলে বলবেন আরও বেশি ভোট পেয়ে বিএনপি বিজয়ী হতে পারত যদি সরকার বাধা সৃষ্টি না করত। হারলে বলবেন ষড়যন্ত্র হয়েছে, সরকার আর নির্বাচন কমিশনার মিলে হারিয়ে দিয়েছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলে বলবেন, সরকার সিট ছেড়ে দিয়েছে - কথার কি আর শেষ আছে। পরিশেষে বলতে চাই, রাজনীতির এ কোন ভাষা, নাকি ভাষার ও কথার রাজনীতি। না কি জনগণের রাজনীতি হবে। জনগণের জন্য কথা ও ভাষা ব্যবহার হবে, জানি না সেই রাজনীতি কবে হবে? রংপুরের নির্বাচনে সব হিসাব পরিবর্তন করে দিয়েছে।

লেখক : ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়