সাইদুর রহমান : মধ্যপ্রাচ্যের ধনী রাষ্ট্র কাতারকে বাদ দিয়ে মানচিত্র প্রদর্শন করা হয় আরব আমিরাতের প্রধান জাদুঘর ল্যুভর মিউজিয়ামে। এ মানচিত্র গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তুমুল সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এরিই প্রেক্ষিতে ঔ মানচিত্র সংশোধনের ঘোষণা দিয়েছে লুভ্যর মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। খবর আল-জাজিরা
মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ এ ভুলকে অদক্ষতা এবং গবেষণাগত ভুল বলে আখ্যায়িত করেছে। এর আগে জাদুঘরের একটি মানচিত্র থেকে কাতার রাষ্ট্রকে মুছে ফেলার অভিযোগ করেছিলেন একজন মার্কিন গবেষক।
আমিরাতের ল্যুভর মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাদুঘরের একটি মানচিত্রে প্রাচীন পাত্রের সাহায্যে বাণিজ্যিক পথ নির্দেশ করা হয়েছিল। তবে ভুল করে চিহ্নটি সঠিক স্থানে বসানো ছিল না। এ কারণে আমরা মানচিত্রটি পরিবর্তন করেছি।’
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ‘আমিরাত-কাতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ছে’ শিরোনামে এক প্রবন্ধে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক সাইমন হেনডারসন দেখান আমিরাতের ওই মানচিত্র থেকে কাতারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি কাতার এলাকাটিকেই মানচিত্র থেকে বাদ দিয়েছে দেশটি।
এছাড়াও এ মিউজিমের একটি ফলকে ভুয়া মানচিত্র প্রদর্শিত হয়। যেখানে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক রাষ্ট্র ওমানকে আমিরাতের মানচিত্রের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। সেখানে ওমানের প্রদেশ মুসানদিমকে আমিরাতের অংশ গণ্য করা হয়। এরপরে ওমান কর্তৃপক্ষ আমিরাতের এ পদক্ষেপে উষ্মা প্রকাশ করে।
তবে ফ্রান্সের ল্যুভর মিউজিয়ামের সঙ্গে যে চুক্তির মাধ্যমে আমিরাত তাদের জাদুঘরের নাম রেখেছে এ ঘটনা তার বিরোধী। এমন ভৌগলিক দূরীকরণ আইনবিরোধী বলেও দাবি করা হয় লেখাটিতে। এ ঘটনার পর সোমবার জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সূত্র : আল-জাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :