শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ১২:২৮ দুপুর
আপডেট : ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ১২:২৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পলি জমার সঠিক তথ্য নেই দেশে, যা আছে তা সবই অনুমান নির্ভর

মতিনুজ্জামান মিটু : বাংলাদেশের নদ-নদী, বন্যা কবলিত এলাকার কৃষি জমি ও বঙ্গোপসাগরে প্রতি বছর কি পরিমাণ পলি জমে তার কোনো সঠিক তথ্য উপাত্ত নেই দেশে। যা আছে তা সবই অনুমান নির্ভর। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের বন্যা কবলিত এলাকার কৃষি জমিতে পলি জমা সংক্রান্ত জরীপ প্রতিবেন ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের কথায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বিগত ২০১৭ সালের ৩০ আগষ্ট কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর সভপতিত্বে এডিপি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা সভায়, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্যা কবলিত এলাকার কৃষি জমিতে পলি জমার পরিমান নির্ণয়ের জন্য ৪ সদস্যের একটি জরীপ কমিটি গঠন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি কাউন্সিলের নেতৃত্বে বিএআরসি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউট এর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এ কমিটি গত ২২ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর , ০১ থেকে ৩ অক্টোবর এবং ৫ নভেম্বর বন্যা কবলিত রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জামালপুর, শেরপুর, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি, ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা পরিদর্শন করেন।

জরীপ কমিটির আহ্বায়ক ও বিএআরসি’র মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা(মৃত্তিকা) ড. মো. আব্দুস সাত্তার, সদস্য ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা(মৃত্তিকা) ড. মো. বক্তীয়ার হোসেন, এসআরডিআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলতাফ হোসেন এবং ডিএই এর উপপরিচালক(সার ব্যবস্থাপনা) মো. মুকছেদুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়, ‘দেশের বন্যা কবলিত এলাকার কৃষি জমিতে পলি জমা সংক্রান্ত জরীপকালে বন্যা সংশ্লিষ্ট নদী থেকে বিভিন্ন দূরত্বের সাথে জমাকৃত পলির পরিমাণের কোনো ধারাবাহিকতা পাওয়া যায়নি। এছাড়া ঘোলা পানি দ্বারা প্লাবিত জমি তথা সম্ভাব্য পলি জমাকৃত জমির পরিমাণের কোন সুনির্দিষ্ট তথ্যও লিপিবদ্ধ আকারে কোথাও পাওয়া যায়নি। এতদসংক্রান্ত যে তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেছে তা নিতান্তই অনুমান নির্ভর। অনুমান নির্ভর তথ্যের ভিত্তিতে হিসাবকৃত পলির পরিমানের তথ্য নির্ভরযোগ্য হবেনা বলে বিবেচেনা যেতে পারে। সে কারণে এতদবিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য উপাত্তের জন্য জরীপ কাজটি দীর্ঘ মেয়াদে বিজ্ঞান ভিত্তিক যথাযথ পদ্ধতিতে ব্যাপক নমুনা পরিমাপের মাধ্যমে সম্পন্ন করা প্রয়োজন। এসআরডিআই এর আওতাধীনে এতদবিষয়ে একটি প্রকল্প প্রণয়নের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদে অত্র জরীপ কার্যক্রমটি সম্পাদন করা যেতে পারে।’

দেশে প্রতিবছর পলি জমার পরিমানের যে তথ্য উপস্থাপন করা হয় তা সবই অনুমান নির্ভর এ প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি বিজ্ঞান বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাইফুল হোসেন বলেন, দেশে পলি সংক্রান্ত যে তথ্য উপাত্ত আছে তা অনুমান নির্ভর একথা ঠিক। তবে এরও বিজ্ঞান সম্মত ভিত্তি আছে। দেশে প্রতি বছর ১.২ বিলিয়ন থেকে ১.৮ বিলিয়ন মেট্রিক টন পলি জমা হয়। এর কিছু পলি নদ-নদী এবং বাকী বঙ্গোপসাগরে পড়ে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক এ. কে. এম মমতাজ উদ্দিন বলেন, প্রতি বছরের পলির পরিমানের সঠিক তথ্য আমার জানা নেই। অনেকদিন আগে সম্ভবত এব্যাপারে জরীপ হয়েছিল। তবে সে জরীপ রিপোর্ট আমার নজরে আসেনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়