ফারমিনা তাসলিম : রাজধানীর ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করা এখনও শেষ করা সম্ভব হয়নি। এর সঙ্গে ভুয়া পরিচয়ধারীও ভাড়াটিয়াও আছে। এক্ষেত্রে পুলিশের তদারকি ও তৎপরতা আরো বাড়ানো দরকার।
ভুয়া পরিচয়ে বাড়ি ভাড়া নেয়া বন্ধে নির্বাচন কমিশনের তথ্যভাণ্ডারের সহায়তা নেয়ার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। দুই বছরে ঢাকাবাসীর শতকরা নব্বই ভাগ তথ্য সংগ্রহ করে ৫৬ লাখ নাগরিককে ডাটাবেইজের আওতায় এনেছে ডিএমপি।
বাড়িওয়ালাদের দাবি, স্থায়ী কিংবা অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী সব নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ নিশ্চিত করতে পুলিশের তৎপরতা ও তদারকি আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এব্যাপারে শিগগিরই পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীর নাখাল পাড়ায় নিহত জঙ্গিরা গত ডিসেম্বরে বাসাভাড়া নিয়েছিল ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে। এছাড়া অন্যান্য স্থানেও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা পরিচয় দেয়ার সময় প্রতারণার আশ্রয় নেয়। এক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা বা নিরাপত্তারক্ষীদেরও কাগজপত্র বা পরিচয় যাচাই করা সম্ভব হয় না।
এক বাড়িওয়ালা বলেন, কোন ভাড়াটিয়া নতুন আসলে, তিনি আগে যে বাড়িতে থাকতেন সেখানকার মালিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে খবর নেই। নতুন ভাড়াটিয়া আসলে তাদের আলাদা করে খোঁজ খবর নেয়ার সুযোগ নেই।
ডিএমপি জানায়, মিথ্যা তথ্য দেয়া বন্ধ করতে এবং অপরাধী শনাক্তে বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়াদের নিবন্ধন শুরু হয় ২০১৬ সালে। ৪৯টি থানা এলাকাকে কয়েকটি ভাগ করে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তবে, বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অনেককে পাওয়া গেছে যারা একা কিংবা পরিবারসহ দীর্ঘদিন ঢাকায় থাকলেও নিবন্ধিত হননি। স্থানীয়রা মনে করেন, পুলিশ এককভাবে দায়িত্ব পালন করায় এখনও অনেক বসবাসকারীর তথ্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর বাড়িওয়ালা কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি সাব্বির আহমেদ খান বলেন, বাড়িওয়ালারা নিজেরা থাকছেন না, ম্যানেজারের মাধ্যমে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন। সেই বাড়িগুলোতেই সাধারণত ভাড়াটিয়াদের তথ্য ঠিকভাবে রাখা হচ্ছে না।
নিবন্ধন চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে পুলিশ জানায়, এ পর্যন্ত বিতরণ করা ২০ লাখ ফরমের প্রায় সবগুলোই জমা হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানায়।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, সব বাড়ি কাভার হয়েছে, সেটা বলবো না। তবে সব বাড়িকে কাভার করার চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের একটা বেসের সঙ্গে আমাদের একটা ইন্টারফেস দ্রুতই আমরা পাবো। এতে ভাড়াটিয়ার পরিচয়টা অটোমেটিক যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ আমাদের হবে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে সম্প্রসারিত ও নবনির্মিত ভবনে অবস্থানকারীদের তথ্য হালনাগাদ করা হবে। তবে সব তথ্যই কেবল পুলিশের প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার সীমাবদ্ধ থাকবে বলে জানায় ডিএমপি।
সূত্র : সময় টিভি