জান্নাতুল ফেরদৌসী: মিয়ানমারের উত্তর রাখাইনে এখনো শেষ হয়নি রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির কাজ। মিয়ানমার সরকারের প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা। এ অবস্থায় পূর্ণনিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে অমানবিক পদক্ষেপ বলছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা। মিয়ানমার আদৌ রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান চায় কি না তা নিয়ে সন্ধিহান বিশ্লেষকরা। সূত্র: চ্যানেল টোয়েন্টিফোর টিভি
বাংলাদেশ থেকে ফেরত যাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রথমে মিয়ানমারের রাখাইনে রাখুম প্রত্যাবাসন ক্যাম্পের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হবে। পরে উত্তর রাখাইনের একটি ক্যাম্পে নেয়া হবে। জনমানবহীন এই এলাকায় ৪০টি ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং ৬’শ ভবনের কাজ চলছে বলে দাবি মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জেষ্ঠ্য পরামর্শক ম্যাথিউ ওয়েলস বলেন, এখনও প্রায় প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা। এতে বোঝা যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনা নিপীড়ন বন্ধ হয়নি। রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া মোটেও নিরাপদ না।
ইউএনএইচসিআর মুখপাত্র ভিভিয়ানতান বলেন, প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। রোহিঙ্গারা যখন মনে করবে দেশে ফেরার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তখনই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।
এই নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডেভিড ম্যাথিয়েসন বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার-বাংলাদেশের চুক্তি হয়েছে ঠিকই কিন্তু কয়েকমাস আগে মিয়ানমারের সরকার সাড়ে ৬ লাখ রোহিঙ্গাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছে তারাই আবার উৎফুল্লভাবে সব রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেবে, এমনটা ভাবা হাস্যকর।
২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এ প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে তার নিশ্চয়তা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :