হ্যাপী আক্তার : গুম ও খুনের অভিযোগে ৯ বছর ধরে মামলা চলার এক পর্যায়ে গত ১৫ জানুয়ারি ফিরে এসেছেন নিখোঁজ জালাল উদ্দীন। এমন ঘটনায় হতবাক বিচারক, আসামী এমনকি বাদিপক্ষও। জালালের রহস্যজনক উধাও হওয়া ও ফিরে আসার জবান বন্দীর নেওয়ার পর বিচারক নতুন করে মামলার কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।
হত্যাকান্ডে যখন বাদি ও বিবাদি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে আদালত প্রাঙ্গনে। যাকে হত্যাকন্ডের দায়ে আসামীরা আাদালতের কাঠগড়ায়, সেই জালাল উদ্দীন ফিরলেন আশ্চর্যজনকভাবে।
জালালের স্ত্রীর অভিযোগ চাকরিসহ বিদেশে নিয়ে যাবার কথা বলে ২০০৯ সালে তাদের কাছ থেকে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয় আসামীরা। এক পর্যায়ে জালালকে ঢাকায় নেওয়া হয়। তারপর থেকে জালালকে আর খোঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ২০১০ সালে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানায় শঙ্করবাবু, আসাদ মল্লিক ও রুহুল আমিনসহ ৫ জন ব্যাক্তিকে আসামি করে গুম ও খুনের মামলা করেন জালালের স্ত্রী ললিতা বেগম।
কিশোরগঞ্জ জজ আদালতের পিপি শাহ আজিজুল হক বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা একটি ব্যতিক্রম ও অস্বাভাবিক বিধায় বিজ্ঞ আদালত পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নিম্ন আদালতকে নিদের্শ দিয়েছে।
প্রকৃত ঘটনাটিকে ধামাচাপ দিতে বাদিপক্ষের জালাল উদ্দীন মানসিক ভারসাম্য ও স্মৃতি হারনোর নাটক সাজাচ্ছে বলে অভিযোগ আসমি পক্ষের। আসামি আর বাদি পক্ষের বিবাদে তৃতীয় একটি পক্ষ লাভবান হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জালালকে গুম ও খুনের মামলায় পুলিশের তদন্তের ভূমিকা এবং তৃতীয় পক্ষের মদদ দাতাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চায় আসামীরা। সূত্র: যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :