ড. দিলারা চৌধুরী : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়ার জন্য বলেছেন। এটি ভালো কথা। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পরে অত্যন্ত নিরাশ হয়ে পড়েছিলাম। কারণ, আমাদের দেশের সব মানুষের আশা একটি ভাল নির্বাচন । রূপরেখার ব্যাপারে বিএনপি কতটুকু প্রস্তুত, আমরা বলতে পারব না। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার পর বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে রুখে দাড়িয়েছে, এতে আমরা অনেকটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ, এ বছর বাংলাদেশের সামনে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগকে অনেক চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখিন হতে হবে। এর মধ্যে কোনো ধরণের সংঘাত কাম্য নয়।
এখন রোহিঙ্গা সমস্যা আছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বিচার বিভাগে ৩৩ লাখ মামলা ঝুলন্ত অবস্থায় পড়ে আছে। দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে, এটি আমি বিশ্বাস করি। মানুষের আয় বেড়েছে, এটিও বিশ্বাস করি। তারপরও কিছু দিক আমাদের চোখে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘাত, বৈষম্য, বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি হয়েছে। যেটির প্রমাণ ছিল, মৌলভী বাজারে শহর রক্ষার বাঁধ ভেঙ্গে গেল। টাকা গেলেও অনেক সরকারী কাজ ভালোভাবে হয় না।
এমন নানা সমস্যা আছে আমাদের দেশে। তার মধ্যেও বড় সমস্যা রোহিঙ্গা। এবার মূদ্রাস্ফীতি হওয়ার সম্ভাবনাও আছে। কারণ, আমাদের আমদানী বেড়েছে কিন্তু রপ্তানী কমেছে। মুদ্রাস্ফীতি দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে পারে। সব মিলিয়ে বছরটিতে অনেক সমস্যা মোকাবিলা করা লাগবে। এখন যদি বিএনপি সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেয় ভালো। এটি রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক দিক। তবে এজন্য তো বসতে হবে।
পরিচিতি: রাজনৈতিক বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
সম্পাদনা: গাজী খায়রুল আলম
আপনার মতামত লিখুন :