তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো শঙ্কা আছে কিনা ২৩ তারিখের পর বোঝা যাবে। ওই দিনটি আগে পার হতে দিই আমরা? তবে সার্বিকভাবে বলা যায় যে, দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। কিন্তু কাউকে ওখানে (মিয়ানমারে) জোর করে পাঠানো হবে না।
তিনি আরও বলেন, আশা করছি আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র চীন এবং ভারত মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করবে। তাদেরকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিবে যে, যা কিছু হচ্ছে দ্বিপাক্ষিকভাবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তারা (মিয়ানমার) কালক্ষেপণের প্রক্রিয়া শুরু করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ এখানে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা বলছে, আমরা এখানে ত্রাণ পাচ্ছি, নিরাপদে আছি, কোথাও যাব না ইত্যাদি। এখানে জাতিসংঘ, কিছু এনজিও, বিদেশিরা বলছেন যে, রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক পাঠানো ঠিক হবে না। বাংলাদেশও বলছে, যারা স্বেচ্ছায় ফেরত যেতে চাইবে তাদের পাঠানো হবে, কাউকে জোর করা হবে না। তবে সারা পৃথিবীর উচিত মিয়ানমারের উপর অব্যাহতভাবে চাপ সৃষ্টি করে যাওয়া, যাতে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কালক্ষেপণের চেষ্টা করতে না পারে। তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিকভাবে হলেও জাতিসংঘের উপস্থিতি তো কোনো অসুবিধা নেই। তারা তো আছেই আমাদের সঙ্গে। তবে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা তো আছেই। সব সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে দ্বিপাক্ষিকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলে আমরা এগোতে পারব বলেও মনে করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
আপনার মতামত লিখুন :