শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০২:০৮ রাত
আপডেট : ২৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০২:০৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় বিন লাদেনকে গ্রেফতার করলো দিল্লি পুলিশ

সাইদুর রহমান : ভারতে বিন লাদেন নামে খ্যাত ২০০৮ সালে গুজরাত হামলার মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুস সুভান কুরেশিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। প্রায় এক দশক আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। কুরেশি ২০০৮ সালে গুজরাত বিস্ফোরণের অন্যতম মাথা ছিল। অল্প কিছুক্ষণের গুলির লড়াইয়ের পর কুরেশিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল।

২০০৮ সালের ২৬ জুলাই পরপর একুশটি বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল আমদাবাদ। তার পরের দিন থেকেই পুলিশ কুরেশির খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। কুরেশির নামটি প্রথম ঘোষণা করা হয় গুজরাত পুলিশের তরফে বিস্ফোরণ সংক্রান্ত একটি মেলকে কেন্দ্র করে। প্রসঙ্গত, বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে মেইল করা হয় গুজরাত পুলিশকে।

সেই মেইল ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মেইলটি এক মার্কিন নাগরিকের। এরপরই সন্দেহ জাগে পুলিশের মনে। বিস্ফোরণে যোগ রয়েছে, এই সন্দেহপ্রকাশ করে কুরেশির নাম সন্দেহভাজনের তালিকায় ঘোষণা করা হয়।

তবে শুধু গুজরাত বিস্ফোরণ নয়, কুরেশি বা তৌকিরকে এনআইএও খুঁজছিল দিল্লি এবং বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণ ও ২০০৬ সালে মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে। কুরেশিকে গ্রেফতার করার জন্যে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রেখেছিল গুজরাত এটিএস এবং আমদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

কুরেশিকে ভারতের বিন লাদেন বলা হয়। যেকোনও ছদ্মবেশ ধরতে সক্ষম কুরেশি একাধিক ভাষায় স্বাচ্ছন্দে কথা বলতে পারত। আর সেইজন্যেই একাধিকবার নাগালের মধ্যে পেয়েও পুলিশের হাত ফসকে বেরিয়ে যায় কুরেশি।

শুধু বেশভূষা বা কথায় বার্তায় নয়, তথ্যপ্রযুক্তিতেও বিশেষজ্ঞ ছিল কুরেশি। বোমা বানাতে এক্সপার্ট কুরেশি বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদের বিভিন্ন নামী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজও করেছে। সূত্র : জি নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়