শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০২:৪৮ রাত
আপডেট : ২৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০২:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসরায়েলের সংসদে পেন্সের ভাষণের সময় বের করে দেয়া হল আরব নেতাদের

লিহান লিমা: যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী অচলাবস্থার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। মিসর ও জর্ডান সফরের পর পেন্স ইসরায়েলে পৌঁছান। সোমবার পেন্স ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেয়ার সময় আরব দলের সদস্যরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিবাদ করেন।

আরব পার্টি জানায়, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের রাজধানী এবং যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এই সময় আরব নেতাদের জোরপূর্বক সংসদ ভবন থেকে বের করে দেয়া হয়। আরব পার্টির চেয়ারম্যান আয়মান ওদেহ টুইটারে বলেন, পেন্স একজন ভয়ঙ্কর ব্যক্তি এবং তিনি এই অঞ্চলে বিপর্যয় ডেকে আনবেন। এর আগে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ পেন্সের এই সফর বয়কট করে এবং জানায় যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্ততাকারীর স্থান হারিয়েছে।

এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু পেন্সকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। জেরুজালেমে পা রেখেই তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের রাজধানীতে এসে আমি সম্মানিত বোধ করছি। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে এবং ৬ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক ঘোষণার ফলে এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে।’

পেন্সের ভাষণের আগে নেসেটের স্পিকার ইউলি ইদেলস্টেইন তাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বিশ্বস্ত বন্ধু। পেন্স তার ভাষণে বলেন, ২০১৯ সালে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরিত হবে। আমরা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা শুরু করতে চাই। দুই দেশ একমত হলে আমেরিকা সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
নেসেটে দেয়া ভাষণে ইরান ইস্যুতে পেন্স বলেন, যুক্তরাষ্ট কখনোই ইরানের সঙ্গে হ্ওয়া এই ভঙ্গুর চুক্তিকে স্বীকৃতি দিবে না। খুব তাড়াতাড়িই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরান চুক্তি প্রত্যাহার করবেন। যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে অনুমোদন দিবে না। আমরা ইরানের সন্ত্রাসবাদে মদদ বরদাশত করবো না। তিনি আরা বলেন, ইসলামী চরমপন্থা কোন সীমান্ত মানে না। এটি ইহুদি, ক্রিশ্চিয়ান এমনকি মুসলিমও মানে না। আমরা আইএসকে ধ্বংস করতে কাজ করছি। মধ্যপ্রাচ্যে খ্রিস্টান সম্প্রসারণ করতে যুক্তরাষ্ট্র ১১০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সাহায্য করবে। ইসরায়েলসহ অন্যান্য মিত্র দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এই অঞ্চলে বৈচিত্রময় সম্প্রদায় গড়ে তোলা হবে। তিনি আরো বলেন, আমেরিকা ইরানের জনগণের বন্ধু। আমরা প্রতিজ্ঞা করছি একদিন আপনাদের মুক্তি আসবে।

এদিকে পেন্সের নেসেটে ভাষণ দেয়ার সময় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তার ব্রাসেলস সফরের আগে ইউরোপের দেশগুলোকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ই্ইউ আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আমাদের স্বীকৃতি দিতে তাদের কোন বাধা থাকবে না।’ টাইমস অব ইসরায়েল, হারর্টেজ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়