টিভিএন রিপোর্ট : প্রযুক্তির আধুনিকায়ন আর যান্ত্রিকতার কোলাহলে হারিয়ে যাওয়া বই পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে এবং বই সংগ্রহকে আরও আধুনিক ও সহজ করতে ঢাকায় গড়ে উঠেছে কয়েকটি বুকক্যাফে। শাহবাগ জাদুঘরের পাশে পাঠক সমাবেশের পর এলিফ্যান্ট রোডে যাত্রা শুরু করেছে দীপনপুর। জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার দীপনের স্মৃতিকে ধরে রাখাতেই তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান জলির উদ্যোগে দীপনপুরের যাত্রা। এরপর এসেছে বেঙ্গলবুক ও বাতিঘর।
এক ছাদের নীচেই পাঠক পাচ্ছেন মনকাড়া পরিবেশে বই পড়ার সব উপকরণ। মাঝে মাঝে লেখক-পাঠক আড্ডা। ক্লান্তি দূর করতে চা কিম্বা কফি বা হালকা নাস্তার ব্যবস্থা রয়েছে বুকক্যাফেতে।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, মানুষ চিন্তা ও কাজ ছাড়া চলতে পারে না। সেখানেই বইয়ের প্রচলন। সবাক ও নির্বাক চলচ্চিত্র, রেডিও টেলিভিশন আসার পরও মানুষের চিন্তার জগতে বইয়ের প্রভাব এখনো রয়েছে। গত ৩০ বছরে অনলাইন কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই ঝুঁকে পড়ায় অনেকটাই বই থেকে সরে গেছে। বিপথগামী হয়েছে। ফের বইতে ফিরে আসছে অনেকে। জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে বুকক্যাফে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে।
লেখক ও গবেষক সালাম আজাদ বলেন, ইন্টারনেট, ফেসবুক বইয়ের জায়গা দখল করলেও সুস্থ সমাজের চিন্তায় বইয়ের বিকল্প নেই। তরুণদের কাছ থেকে লেখকের অনেক জানার আছে। বুকক্যাফেতে তরুণরা নেট সংস্কৃতির সাথে বইয়ের জগতকেও ভালোবাসবে।
ঢাকায় প্রথম বুকক্যাফের উদ্যোক্তা, পাঠক সমাবেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহিদুল ইসলাম বিজু জানান, পাঠক আগের চেয়ে কমে যাচ্ছে তা বলা যাবে না। পাঠক বাড়ছে। তবে এটি ঠিক যে তরঙ্গের এই যুগে মানুষ কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ইন্টারনেট দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত হচ্ছে। তবে তার মানসিক প্রশান্তির জন্য শেষে বইকেই খুঁজে নিতে হচ্ছে। যারা চিন্তাশীল তারা বই ছেড়ে কখনই যাবে না।
আপনার মতামত লিখুন :