শিরোনাম
◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছে: ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

প্রকাশিত : ২২ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৪:৩৪ সকাল
আপডেট : ২২ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৪:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আসামিয়দের বাঙালিপ্রীতি

রবিউল আলম : আমার কাছে অবাক লেগেছে, আসাম রাজ্যের মানুষ কোথায়, আসামিয়দের ভাষার অবস্থান কোথায় - আমার ছোট ভাই আসামের নাগরিক সামসুল হকের কাছে জানতে চাইলাম। তার মতামত, আসাসের মানগরিক ও আসামের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। আসামের নাগরিকরা সরকারী চাকরিজীবী। অফিস আর বাড়ি। রাজনীতি, সামাজিক সংস্কৃতি, সাহিত্য নিয়ে মাথা কম ঘামায়। ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি বেশিরভাগ বাঙালি নিয়ন্ত্রণ করে। বাঙালির অবস্থান এতটাই গভীরে যে ইচ্ছে করলেই আসাম সরকার অথবা ভারত সরকার বাঙালি খেদাতে পারবে না। বাঙালি খেদিয়ে ভারতের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবে না।

বাঙালি খেদাতে গিয়ে বাঙালিকে হয়রানি, নির্যাতন, অত্যাচার করে পাকিস্তান, বৃটিশ, মিয়ানমার কারোরই অবস্থান সুদৃঢ় হয়নি। সর্বশেষ রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে বিজিপি সরকারকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। বাঙালি খেদাতে গিয়ে অং সান সুচির অবস্থান আজ কোথায়? আর বাঙালিকে কাজে লাগিয়ে ভারতের অবস্থান কোথায়? একটু পেছনে তাকাতে হবে, বাঙালির চাহিদা ছিল আকাশছোঁয়া। ১৯২০-৩০ সাল পর্যন্ত আসাম আরাকান (বার্মা) অবস্থান ছিল কিছু কর্মহীন মানুষ নিয়ে অশান্ত। আসামে ছিল জংলী আইন, বার্মা ছিল মগা, অনেকেই কাপড় পড়তেও জানতো না। জানত না পাকা আম, কাঠাল, আনারস কিভাবে খেতে হয়। বাঙালিরা তাদেরকে খাওয়া শেখায়, আরও শেখায় সমাজ-সংসার, রাজনীতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কিভাবে দাবি আদায় করতে হয়? রাষ্ট্র কি করে উন্নœয়ন করতে হয়।

বাঙালিদের প্রয়োজনীয়তা, আসামিয়দের কাছে আজও ফুরিয়ে যায়নি। শুধু রাজনীতির কারণে বাঙালি বিতর্ক কোনো সুফল বয়ে আনতে পারে না। বাঙালি কারো দয়ার দান গ্রহণ করে না। নিজের যোগ্যতায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনে বাঙালির চাহিদা বাড়ছে। বাঙালি ছাড়া শান্তি, বাঙালি ছাড়া উন্নয়ন, বাঙালি ছাড়া পরিবর্তন অসম্ভব। ভারত অনেক আগে থেকেই অবগত, তাই ভারত পৃথিবী ছাড়তে পারবে বাঙালিকে নয়। আমার বিশ্বাস আসামের বাঙালি খেদাও আন্দোলন রাজনৈতিক তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। আর যদি বাঙালি খেদাও আন্দোলন হয়, তবে অং সান সুচি, আর বিজিপি কার ভাগ্যে কি আছে তা ভবিষ্যৎ বলে দিবে। তবে বর্তমান সরকারকে আসাম ছাড়তে হবে। তবে একটি প্রশ্ন পরিষ্কার করতে হবে, অবেধ বাংলাদেশিকে বাঙালি বলা হয়েছে, একজন মানুষ তার বাপ-দাদাসহ সুদীর্ঘ ৪০ থেকে ৮০ বছরের স্থায়ীত্ব, সে অবৈধ হয় কিভাবে? ৪০ থেকে ৮০ বছর বসবাস করে যদি অবৈধ হয় বাঙালি, তবে পুরো বিশ্ববাসী অবৈধ হবে। শুধু আসামের বাঙালি নয়।

লেখক : ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়