তরিকুল ইসলাম : রোহিঙ্গা প্রত্যাসন প্রক্রিয়া নিয়ে রাখাইনে স্থিতিশীলতার প্রতি আবারও জোর দিয়েছেন ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের বিদেশী কূটনীতিকরা। রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের দুই পর্বে রোহিঙ্গা বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ব্রিফ করার পর সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দুই পর্বের কূটনীতিক ব্রিফিং-এ প্রথম পর্বে ছিলেন অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মান, ইতালি, তুরস্ক, রাশিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এবং জাতিসংঘ, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ফাও), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও রেডক্রসের প্রতিনিধিরা।
দ্বিতীয় পর্বের ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মিশর, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, মরক্কো, ওমান, ফিলিস্তিন, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সরা।
এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশ সরকার একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। সেভাবেই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা হবে। বাংলাদেশেরও উচিৎ মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা। এটাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা অবশ্যই রাখাইনে স্থিতিশীল পরবিশ দেখতে চাই, যেনো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সেটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করতে হলে রাখাইন রাজ্য টেকসই করা প্রয়োজন। রোহিঙ্গাদের ফেরার পরিবেশ নিশ্চিত করতে রাখাইন রাজ্যে টেকসই উন্নয়ন চায় ভারত। আর টেকসই উন্নয়ন হলেই রাখাইনে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন স্থায়ী হবে। রাখাইন রাজ্যের উন্নয়নের জন্য ভারতের সাথে মিয়ানমারের একটি চুক্তি আছে। কফি আনান কমিশনের রিপোর্টেও সেখানকার জীবনযাত্রার উন্নয়নের সুপারিশ করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি যতদ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আর এই প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে যেটা জানতে পেরেছি তারা ওই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আর ফিরে যেতে চায় না। তাই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হলে রাখাইনে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা প্রয়োজন। আমরা সেটার ওপরই জোর দিচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :