সাঈদা মুনীর: ফুল এমনই একটি জিনিস যা সকলেই অনেক পছন্দ করেন। আমরা ফুলের সৌন্দর্যে অনেক বেশি আকৃষ্ট। সৌন্দর্য ছাড়াও ফুলের আরও কত ধরণের ব্যবহার করা যায়। ফুলের বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে।
ফুল শুধু স্ট্রেস দূর করতেই সাহায্য করে না, এর মাঝে রয়েছে প্লান্ট হরমোন। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এর জুড়ি নেই। এছাড়াও ফুল প্রাকৃতিকভাবে মেজাজের পরিবর্তন সাধিত করে।
যাদের প্রায়ই অন্ত্রের রোগ, পিত্ত থলি এবং লিভারের সমস্যা রয়েছে, তারা গোলাপের পানীয় পান করতে পারেন। এতে ব্যথা উপসম হয়। গোলাপের পানি অর্থাৎ গোলাপ জল ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এটি ত্বক পরিষ্কারের জন্য ভালো একটি উপাদান।
এছাড়াও, গোলাপের পাপড়ি পেডিকিউর ও মেনিকিউরে ব্যবহার করা হয়। গোলাপের সুবাস মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
গাঁদা ফুলের পাপড়ি পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, গাঁদা ফুল অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে থাকে। কোথাও কেটে গেলে বা ছত্রাকের স্থানে গাঁদা ফুল লাগালে আরাম পাওয়া যায়। এটি একটি নিরাময় মলম হিসেবে কাজ করে। এতে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। গাঁদা ফুলের পাপড়ি কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে পান করলে ব্যথা, স্বরভঙ্গ এবং টনসিলের ব্যথা হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
ক্যামোমিল অন্ত্রের গ্যাস দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। চামড়ার পোড়া ও চুলকানি দূর করে এবং মানসিক চাপ দূর করে। এছাড়াও, এটি মুখের আলসার, পেট ব্যথা এবং পেশীর ব্যথা দূর করে।
চন্দ্রমল্লিকার রস ঠান্ডা এবং জ্বরকে যাদুকরীভাবে দূর করে। এছাড়াও চোখের লালভাব এবং ফোলা কমাতে চন্দ্রমল্লিকার রস বেশ উপকারী। তুলা রসের সাথে মিশিয়ে আলতো করে চোখের উপর দিয়ে রাখলে চোখের সমস্যা দূর হয়। সূর্যমুখী পানির সাথে মিশিয়ে গড়গড়া করলে গলদাহ থেকে ত্রাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও, চায়ের সাথে সূর্যমুখী ব্যবহার করা যায়। এতে চায়ের স্বাদও পরিবর্তন হয় এবং গলার ব্যথাও দূর হয়। ফুলের বিভিন্ন উপকারিতা ও সৌন্দর্য উপভোগ করুন।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া।